আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌর বিএনপি সভাপতি মো. রাজিউর রহমান রাজু’র নামাজে জানাযায় হাজার হাজার মানুষেরঢেল নেমেছিল। স্থানীয় পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত রবিবার রাত সাড়ে আটটার এই জানাযায় দলে দলে অংশ নেন দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ। সমগ্র মাঠ জুড়ে মোট ২৮ টি সাড়িতে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ অংশ নেন জানাজার নামাজে। জনপ্রিয় এই নেতার বিদেহী আত্নার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন তারা। জানাজা পূর্ব তার জীবনের স্মৃতিচারনে অংশ নেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আলীগ সিনিয়র সহ সভাপতি মো. ইমদাদুল হক, সাবেক এমপি জাপা নেতা হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা বিএনপি নেতা ঠাকুরগাঁও পৌরমেয়র মীর্জা ফয়সল আমীন, জেলা বিএনপি নেতা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. তৈমুর রহমান, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি জাহিদুর রহমান জাহিদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. ময়নুল হোসেন সোহাগ, সাধারন সম্পাদক পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, মরহুমের বড় ভাই ডা. আব্দুর রহিম, বড় ছেলে আতিকুজ্জামান আতিক প্রমুখ। বক্তারা তাদের স্মৃতিচারনে বলেন, এলাকার মানুষ একজন সজ্জন, মিষ্টভাষী, সততার দৃষ্ঠান্ত, জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্বকে হারাল। তার মৃত্যুতে অত্র এলাকার যে ক্ষতি হলো তা আর কোনদিনই পূরন হবার নয়। মরহমের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে তার দল বিএনপিসহ সর্বদলীয় নেতৃত্ব।
বিএনপির এই নেতার মরদেহ জানাজা শেষে স্থানীয় পীরডাঙ্গী গোরস্থানে রাত সাড়ে ৯টায় দাফন করা হয়। রবিবার সকালে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন রাজিউর রহমান রাজু। আনুমানিক ৭টা/ সাড়ে ৭টার দিকে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যূ বরণ করেন তিনি। তার জানাজা নামাজের উপস্থিতি এ যাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার তার বাসভবনে মিলাদমাহফিল ও দোয়া খায়ের অনুষ্ঠিত হবে এবং সর্বস্তরের জনসাধারনকে মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহনের জন্য মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি মাতা, স্ত্রী, ২ পুত্র ও ১ কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।