ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

শুধু প্রার্থী নয়, দলের পদেও থাকতে পারবেন না খালেদা

কৃষ্ণকুমার দাস: পর পর দুই দুর্নীতি মামলায় অপরাধী প্রমাণ হওয়ায় এবং হাই কোর্টে ট্রাইবুনালে আদালতের সাজা দ্বিগুণ হওয়ায় আপাতত খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই মামলায় ফেরার হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করে থাকা খালেদাপুত্র তারেক জিয়াও ভোটের সময় দেশে ফিরতে পারছেন না।

স্বভাবতই বিরোধী দল বিএনপি যদি এবার নির্বাচনে নামে তবে সেনাপতিহীন হয়ে আওয়ামী লিগের উন্নয়ন-হাওয়ার বিরুদ্ধে নামতে হবে। মা-ছেলেকে ছাড়াই যে এবার ভোটে নামতে হবে তা গত কয়েকদিনে বিএনপির নেতারা ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু বিএনপির গঠনতন্ত্রে আনা সংশোধনী নিয়ে ঢাকা হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে খালেদা-তারেককে দলীয় নেতৃত্বের পদে রাখার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। হাই কোর্টের ওই রায়ের পর এখন কাকে শীর্ষপদে রেখে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে তালিকা পাঠাবেন তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, “হাই কোর্টের ওই রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ, সংশোধনীতে বিএনপির গঠনতন্ত্রের সপ্তম ধারা বাদ দেওয়া হয়। সেখানে আগেই বলা ছিল, দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি বিএনপির নেতা বা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। অর্থাৎ পুরনো গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন কমিশন যদি বিএনপির প্রার্থী তালিকা পরীক্ষা করে তাহলে খালেদা-তারেক যেমন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তেমনই দলের পদেও থাকতে পারবেন না। মোজাম্মেল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মীই হাই কোর্টে মামলা করায় এই রায় দিয়েছিল আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুধু খালেদা-তারেক নয়, বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদও ঢাকা হাই কোর্টের ওই রায়ের জেরে প্রার্থী হতে পারবেন না। এমনিতেই টানা দশ বছরের শাসনে দেশে বিপুল উন্নয়ন ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ইস্যুতে ‘মানবিক হাসিনা’ অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামছেন। জঙ্গি দমন ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ভারত-সহ বিশ্বের কাছে নিজের ইমেজ অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। উলটোদিকে যাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক সেই শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে খালেদা-তারেকের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে বিএনপি। এদিনও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা খালেদা-তারেকের মুক্তি চেয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু আদালতের ইস্যু দেখিয়ে বিএনপিকে নিরাশ করেছেন হাসিনা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

শুধু প্রার্থী নয়, দলের পদেও থাকতে পারবেন না খালেদা

আপডেট টাইম ০২:৫১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ নভেম্বর ২০১৮

কৃষ্ণকুমার দাস: পর পর দুই দুর্নীতি মামলায় অপরাধী প্রমাণ হওয়ায় এবং হাই কোর্টে ট্রাইবুনালে আদালতের সাজা দ্বিগুণ হওয়ায় আপাতত খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই মামলায় ফেরার হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করে থাকা খালেদাপুত্র তারেক জিয়াও ভোটের সময় দেশে ফিরতে পারছেন না।

স্বভাবতই বিরোধী দল বিএনপি যদি এবার নির্বাচনে নামে তবে সেনাপতিহীন হয়ে আওয়ামী লিগের উন্নয়ন-হাওয়ার বিরুদ্ধে নামতে হবে। মা-ছেলেকে ছাড়াই যে এবার ভোটে নামতে হবে তা গত কয়েকদিনে বিএনপির নেতারা ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু বিএনপির গঠনতন্ত্রে আনা সংশোধনী নিয়ে ঢাকা হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে খালেদা-তারেককে দলীয় নেতৃত্বের পদে রাখার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। হাই কোর্টের ওই রায়ের পর এখন কাকে শীর্ষপদে রেখে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে তালিকা পাঠাবেন তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, “হাই কোর্টের ওই রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ, সংশোধনীতে বিএনপির গঠনতন্ত্রের সপ্তম ধারা বাদ দেওয়া হয়। সেখানে আগেই বলা ছিল, দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি বিএনপির নেতা বা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। অর্থাৎ পুরনো গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন কমিশন যদি বিএনপির প্রার্থী তালিকা পরীক্ষা করে তাহলে খালেদা-তারেক যেমন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তেমনই দলের পদেও থাকতে পারবেন না। মোজাম্মেল হোসেন নামে এক বিএনপি কর্মীই হাই কোর্টে মামলা করায় এই রায় দিয়েছিল আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুধু খালেদা-তারেক নয়, বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদও ঢাকা হাই কোর্টের ওই রায়ের জেরে প্রার্থী হতে পারবেন না। এমনিতেই টানা দশ বছরের শাসনে দেশে বিপুল উন্নয়ন ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ইস্যুতে ‘মানবিক হাসিনা’ অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামছেন। জঙ্গি দমন ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ভারত-সহ বিশ্বের কাছে নিজের ইমেজ অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। উলটোদিকে যাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক সেই শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে খালেদা-তারেকের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে বিএনপি। এদিনও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা খালেদা-তারেকের মুক্তি চেয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু আদালতের ইস্যু দেখিয়ে বিএনপিকে নিরাশ করেছেন হাসিনা।