ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন ৪ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ ১৫ বছর ধরে : সংঘর্ষে আহত অর্ধশত, ১৪৪ ধারা জারি গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে আল-হাসানার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন প্রতিবাদসভা আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ, জামিন আবেদন আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, ঢাকার প্রস্তাব দ্বিধায় দিল্লি সত্যের মুখোমুখি আসিফ নজরুল পীরগঞ্জে মাস ব্যাপী হস্ত কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদন সংখ্যালঘুদের দমিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা পবিত্র শবে কদর আজ

ঠাকুরগাঁওয়ের ১২ বছরের শিশুর পেটে চার কেজি ওজনের টিউমার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ার বাবুল রায়ের ১২ বছরের শিশুকন্যা বিথিকা রায়।সে স্থানীয় মলানপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।গত দশদিন আগে হঠাৎ করেই শিশু বিথিকার শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে।

তার পেট হঠাৎ করেই ফুলতে থাকে।এতে ঘাবড়ে যায় পরিবারের লোকজন।সবার ধারণা হয় শিশু বিথিকা হয়তো কোন লম্পটের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।ভয় থেকেই ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে।

তবে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে যায় রংপুরের এক ডাক্তারের কাছে।ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানায় শিশু বিথিকার পেটে বড় আকারের টিউমার রয়েছে।যা জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করা প্রয়োজন।

এদিকে পেশায় দিনমজুর বাবুল রায় রংপুরে অপারেশন করার সামর্থ্য না থাকায় তার শিশু মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও হাসান এক্স-রে ক্লিনিকে ভর্তি করে ডা. মো. নুরুজ্জামান জুয়েলের শরণাপন্ন হন।ডা.জুয়েল ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হওয়ায় প্রথমে রাজী হননি।পরে বাবুলের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।শুক্রবার বিকেলে অপারেশন করে দেখেন তার পেটে প্রায় চার কেজি ওজনের টিউমার।টিউমার অপসারণ শেষে টিউমারটি কেটে তার চোখ ছানাবড়া।

টিউমারের ভেতরে আরেক শিশুর বসবাস।সেখানে শরীরের হাত, কলিজাসহ নানা অংশ বিদ্যমান।
এব্যাপারে ডা.মো.নুরুজ্জামান জুয়েল জানান,মেডিকেল সায়েন্সে এটাকে বলে “Fetus in feto” অর্থাৎ বাচ্চার পেটের ভিতরে বাচ্চা।জন্মগত ভাবে বিথিকা জমজ কিন্তু কোন কারণ বশত আরেক শিশু পৃথিবীর মুখ দেখতে পায়নি।তাই এটা বিথিকার জন্মের সময় থেকে তার পেটে থেকে যায়।বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। আশা করা যায় আর কোন ঝুঁকি নেই।

এদিকে ক্লিনিকসূত্রে জানাগেছে,ডা.নুরুজ্জামান জুয়েল ঢাকা বঙ্গবন্ধু শিশু সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদায় অবস্থিত।

শুধুমাত্র বাবা-মায়ের আদেশ পালন করার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার-শুক্রবার এলাকায় গরীব-অসহায় রুগীদের বিনাপয়সায় বড় বড় অপারেশন করেন।শিশু বিথিকার অপারেশন ও তিনি বিনা পয়সায় করেছেন

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ ডাক্তারের পদ শূন্য, দায়িত্বরত ৩ জন

ঠাকুরগাঁওয়ের ১২ বছরের শিশুর পেটে চার কেজি ওজনের টিউমার

আপডেট টাইম ১১:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ার বাবুল রায়ের ১২ বছরের শিশুকন্যা বিথিকা রায়।সে স্থানীয় মলানপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।গত দশদিন আগে হঠাৎ করেই শিশু বিথিকার শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে।

তার পেট হঠাৎ করেই ফুলতে থাকে।এতে ঘাবড়ে যায় পরিবারের লোকজন।সবার ধারণা হয় শিশু বিথিকা হয়তো কোন লম্পটের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।ভয় থেকেই ছুটে যায় ডাক্তারের কাছে।

তবে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে যায় রংপুরের এক ডাক্তারের কাছে।ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানায় শিশু বিথিকার পেটে বড় আকারের টিউমার রয়েছে।যা জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করা প্রয়োজন।

এদিকে পেশায় দিনমজুর বাবুল রায় রংপুরে অপারেশন করার সামর্থ্য না থাকায় তার শিশু মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও হাসান এক্স-রে ক্লিনিকে ভর্তি করে ডা. মো. নুরুজ্জামান জুয়েলের শরণাপন্ন হন।ডা.জুয়েল ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন হওয়ায় প্রথমে রাজী হননি।পরে বাবুলের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।শুক্রবার বিকেলে অপারেশন করে দেখেন তার পেটে প্রায় চার কেজি ওজনের টিউমার।টিউমার অপসারণ শেষে টিউমারটি কেটে তার চোখ ছানাবড়া।

টিউমারের ভেতরে আরেক শিশুর বসবাস।সেখানে শরীরের হাত, কলিজাসহ নানা অংশ বিদ্যমান।
এব্যাপারে ডা.মো.নুরুজ্জামান জুয়েল জানান,মেডিকেল সায়েন্সে এটাকে বলে “Fetus in feto” অর্থাৎ বাচ্চার পেটের ভিতরে বাচ্চা।জন্মগত ভাবে বিথিকা জমজ কিন্তু কোন কারণ বশত আরেক শিশু পৃথিবীর মুখ দেখতে পায়নি।তাই এটা বিথিকার জন্মের সময় থেকে তার পেটে থেকে যায়।বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। আশা করা যায় আর কোন ঝুঁকি নেই।

এদিকে ক্লিনিকসূত্রে জানাগেছে,ডা.নুরুজ্জামান জুয়েল ঢাকা বঙ্গবন্ধু শিশু সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদায় অবস্থিত।

শুধুমাত্র বাবা-মায়ের আদেশ পালন করার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার-শুক্রবার এলাকায় গরীব-অসহায় রুগীদের বিনাপয়সায় বড় বড় অপারেশন করেন।শিশু বিথিকার অপারেশন ও তিনি বিনা পয়সায় করেছেন