পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদার দুটি পদে কারা আছেন, এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সম্প্রতি গ্রেড-১ পদমর্যাদার দুই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়ায় পদ দুটি শূন্য হয়েছে। আলোচনায় আসছে নতুনদের নাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের ৮৫ ব্যাচের জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তার নাম গ্রেড-১ পদের জন্য শোনা যাচ্ছে। যেহেতু প্রশাসনের ৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত কেউ সচিব হননি, তাই পুলিশেও এই ব্যাচের কর্মকর্তারা আপাতত বিবেচনায় থাকছেন না।
৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মঈনুর রহমান চৌধুরী, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আবদুস সালাম, পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
১৯৬৩ সালের ৯ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা মঈনুর রহমান চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলায়। ১৯৮৮ সালে পুলিশের যোগ দেন তিনি। ছিলেন খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজিসহ (অর্থ) বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান।
অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালামের জন্ম ১৯৬১ সালের ৮ আগস্ট; নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। পুলিশে যোগ দেন ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর পদোন্নতি পেয়ে হস অতিরিক্ত আইজিপি। ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রধান হন।
অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম ১৯৬১ সালের ১ এপ্রিল যশোর সদরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিও পুলিশে যোগ দেন ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।
২০১৮ সালে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক গ্রেড-২ পদের বিপরীতে গ্রেড-১ এর অস্থায়ী সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হয়।
গ্রেড-১ মর্যাদা প্রাপ্তদের মধ্যে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান গত ৫ মে এবং শেখ হিমায়েত হোসেন মিয়া ৩ মে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) গিয়েছেন। তাদের পদ দুটি এখন শূন্য।