গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে গত ১লা জুলাই সম্পূরক আবেদন করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অন্যদিকে পেট্রোবাংলার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফ।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, কোর্টের অবকাশের আগে একটা আবেদন ছিল। মূল রিট মামলায় আমরা কতগুলা প্রতিবেদন দেখিয়েছিলাম। তার মধ্যে একটা প্রতিবেদন আছে যেখানে বলা হয়েছে, দুদক তদন্ত করে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। সেখানে দুদক বলেছিল ওই দুর্নীতি রোধ করা গেলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হত না। এমন পর্যবেক্ষণ দুদক ও ক্যাবের পক্ষ থেকেও দেয়া হয়েছে।
ওই রিটের রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করে।
এর বিরুদ্ধে আমরা একটি সম্পূরক আবেদন করেছি। ওই আবেদনের শুনানির জন্য ৯ই জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি গ্যাসের দাম বাড়ার প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে ক্যাব। ক্যাবের আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত বছরের ১৬ই অক্টোবর গ্যাসের সঞ্চালন ও বিতরণ ফি বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করে গত ১১ই মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত গণশুনানি গ্রহণ বেআইনি।
উল্লেখ্য, গত ১লা জুলাই থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। এক চুলার দাম ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকা। আর দুই চুলা ৮০০ থেকে হয়েছে ৯৭৫ টাকা। এ ছাড়া গৃহস্থালি কাজে মিটারভিত্তিক গ্রাহকদের জন্য দাম বেড়েছে ঘনমিটার প্রতি ১২ টাকা ৬০ পয়সা। গড়ে প্রতি ঘনমিটারে বেড়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা।