অনলাইন রিপোর্টার ॥ যানজট নিরসনে রাজধানীর বড় তিন সড়কে রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছে রিকশাচালকরা।
তারা রাজধানীর সায়েদাবাদ, মুগদা, মানিকনগর, মান্ডা, মালিবাগ, খিলগাও, রামপুরা, বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। রাজধানীর সব সড়কে রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়ার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রিকশা মালিকরাও।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় রাজধানীর রামপুরার ওয়াপদা রোড, উত্তর বাড্ডা ও কুড়িল বিশ্বরোডের সড়কের একপাশে অবরোধ করে রিকশাচালকরা। এর ফলে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়।
বেশ কয়েকজন রিকশাচালক বলেন, সড়কে রিকশা চলাচলের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। সকাল ৮টা থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আজ পাঁচ ঘণ্টা এ কর্মসূচি পালন করব। এর মধ্যে দাবি না মানলে কালকে সাত ঘণ্টা সড়কে থাকব। এভাবে আন্দোলন চলবে। সব সড়কে আমাদের রিকশা চালাতে দিতে হবে।
আন্দোলনরত রিকশাচালকরা ‘সড়ক আছে যেখানে রিকশা চলবে সেখানে’, ‘চলবে চলবে রিকশা চলবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এ সময় পথচারী ও অফিসগামীদের বাস থেকে নেমে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার এসআই মান্নান জানান, সকাল ৮টা থেকে উত্তর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে চালকরা অবস্থান নেন। সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে রিকশাচালকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুগদা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললেও তারা সরে যায়নি। তাদেরকে সরাতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলছে।
গত ৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে রাজধানীর তিনটি রুটে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবিবার (৭ জুলাই) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর , সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করবে না। এছাড়া কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।