অনলাইন ডেস্ক ॥ ক্রিকেটীয় নতুন এক পরিভাষা সুপার ওভার। কেউ কেউ একে বর্জনকারী বা এলিমিনেটর হিসেবেও ডাকে। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলায় টাই-ব্রেকিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে এ ধরনের ওভারের ব্যবহার ঘটে। ছয় বলের সুপার ওভারও গতকাল ভাগ্য বদল করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের। সুপার ওভারের জটিল সমীকরনে গতকাল কিউইদের কাদিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে ইংল্যান্ড।
গতকাল রবিবার নিউজিল্যান্ড টস জিতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করেছিল। জবাবে নির্ধারিত ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডও করে ২৪১ রান। তাই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও টাই। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহও ১৫। মূল ইনিংস ও সুপার ওভারে খেলা টাই হওয়ার পরও একটি ভিন্ন নিয়মে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। চলুন এবার আলোচিত ওই সুপার ওভারের নিয়মগুলো জেনে নিই।
সুপার ওভারের যত নিয়ম
খেলোয়াড় নির্বাচন
প্রতিটি দলে শুধু মাত্র নির্বাচিত ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে ৩ জন ব্যাট ও ১ জন বোলিং করতে পারবেন।
ব্যাটিং
মূল ম্যাচে যারা পরে ব্যাট করছেন তারা সুপার ওভারের সময় আগে ব্যাট করবেন।
ফিল্ডিং
মূল ম্যাচের বল শেষ করার পর ফিল্ডিং পরিবর্তন করতে হবে।
ফল
ফল নির্ধারণী সুপার ওভারে যাদের রান অধিক থাকবে তারা জয়ী হবেন।
উইকেট
দুই উইকেট শেষে হলে সুপার ওভারের ইনিংস শেষে।
সুপার ওভারও টাই
যদি সুপার ওভারে টাই হয় সে ক্ষেত্রে যে দল মূল ম্যাচ ও সুপার ওভারে বেশী বাউন্ডারি মারবে তারাই জয়ী হবে। সেখানেও বাউন্ডারি সংখ্যাও সমান হলে যে দল সুপার ওভারে বেশি বাউন্ডারি মারবে তারা জয়ী বলে বিবেচিত হবে