ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

সাকিবের কথোপকথনের খবর আইসিসি জানলো কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক:: জুয়াড়ির কাছে থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি আইসিস বা বিসিবিকে না জানানোর কারণে সব ধরণের কিক্রেট থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান।

খবর বেরিয়েছে জুয়াড়ি দিপক আগারওয়ালের হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে এ নিয়ে আলাপচারিতা হয় সাকিবের। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে তাদের এ কথোপকথনের খবর আইসিসি জানলো কীভাবে? দুই পক্ষের কেউ এটি ফাঁস করেছে নাকি এটি স্টিং অপারেশন?

প্রমাণ পেয়ে সাকিবের শাস্তি হলেও কেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান আগারওয়ালদের মতো ফিক্সাররা? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ঘিরে।

জানা গেছে, সাকিবের সাথে কথিত আগারওয়ালের ম্যাসেজ আদান শুরু ২০১৭ সালের শেষের দিকে। এরপর আরো কয়েকবার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আদান প্রদান। যা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানিয়ে পরিষ্কার অপরাধ করেছেন সাকিব। শাস্তিও পেয়েছেন দুই বছর নিষিদ্ধ হয়ে।

বড় প্রশ্ন, সাকিব ও আগারওয়ালের মধ্যকার এই ম্যাসেজ আইসিসি কীভাবে পেলো? হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপটেড ম্যাসেজ অন্য কারো জানার কথা না। হয় সাকিব কিংবা দীপক আগারওয়াল যেকোনো একজনকে ফাঁস করতে হবে এই ম্যাসেজ। এমনও হতে পারে সাকিব ম্যাচ ফিক্সিংয়ে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য ফাঁস করেছেন আগারওয়াল। কিংবা আগারওয়াল একটা রূপক ক্যারেক্টার। যিনি স্টিং অপারেশন চালিয়েছেন সাকিবের সাথে। প্রস্তাব দিয়ে ফাদে ফেলেছেন সাকিবকে!

চারদিকে কৌতূহল, কে এই দীপক আগারওয়াল?

ক্রিকেট বিশ্বে ফিক্সিংয়ের কথা শোনা গেলেই নাম আসে দীপক আগারওয়াল, অতনু কিংবা অনিল মুনায়ারের মতো কিছু নাম। ফিক্সিং নিয়ে বিখ্যাত বই ‘বুকি গ্যাম্বেল ফিক্সার স্পাই’-এ বলা হয়েছে ‘দীপক আগারওয়াল’ একটি ছদ্ম নাম। তিনি একজন ভারতীয়। থাকেন দুবাইতে।

২০১১ সালে রাজস্থানের উদয়পুর শহরের ঘন্টাঘর এলাকায় বিজয় কুমার নামে এক উঠতি ক্রিকেটার ক্রিকেট বেটিং চক্রে জড়িয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

নিজের সুইসাইড নোটে তিনি নিজের এই পরিণতির জন্য দায়ী করে গিয়েছিলেন দীপক আগরওয়ালকে। অভিযোগ করেছিলেন, দীপকই না কি তাকে ক্রিকেট জুয়ার চক্রে টেনে এনেছিলেন।

জুয়াড়িদের কালো তালিকা আছে আইসিসির কাছে। এদেরকে নাকি ট্র্যাকও করা হয়। তাহলে কখনো আটক করা হয় না কেন? এই বিতর্ক আছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই। এ নিয়ে কাতারভিত্তির টেলিভিশন আল জাজিরার এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ম্যাচই নাকি পাতাতে পারেন এই জুয়াড়িরা!

অজানা কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন ভারতীয় জুয়াড়িরা। অনিল মুনায়ারার কিংবা দীপক আগারওয়ালরা টিকে থাকেন সদর্পে, আর ভুল করে অন্ধকারে প্রবেশ করেন সাকিব আল হাসানরা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

সাকিবের কথোপকথনের খবর আইসিসি জানলো কীভাবে?

আপডেট টাইম ০১:১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:: জুয়াড়ির কাছে থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করলেও বিষয়টি আইসিস বা বিসিবিকে না জানানোর কারণে সব ধরণের কিক্রেট থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান।

খবর বেরিয়েছে জুয়াড়ি দিপক আগারওয়ালের হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে এ নিয়ে আলাপচারিতা হয় সাকিবের। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে তাদের এ কথোপকথনের খবর আইসিসি জানলো কীভাবে? দুই পক্ষের কেউ এটি ফাঁস করেছে নাকি এটি স্টিং অপারেশন?

প্রমাণ পেয়ে সাকিবের শাস্তি হলেও কেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান আগারওয়ালদের মতো ফিক্সাররা? এমন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ঘিরে।

জানা গেছে, সাকিবের সাথে কথিত আগারওয়ালের ম্যাসেজ আদান শুরু ২০১৭ সালের শেষের দিকে। এরপর আরো কয়েকবার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আদান প্রদান। যা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানিয়ে পরিষ্কার অপরাধ করেছেন সাকিব। শাস্তিও পেয়েছেন দুই বছর নিষিদ্ধ হয়ে।

বড় প্রশ্ন, সাকিব ও আগারওয়ালের মধ্যকার এই ম্যাসেজ আইসিসি কীভাবে পেলো? হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপটেড ম্যাসেজ অন্য কারো জানার কথা না। হয় সাকিব কিংবা দীপক আগারওয়াল যেকোনো একজনকে ফাঁস করতে হবে এই ম্যাসেজ। এমনও হতে পারে সাকিব ম্যাচ ফিক্সিংয়ে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তথ্য ফাঁস করেছেন আগারওয়াল। কিংবা আগারওয়াল একটা রূপক ক্যারেক্টার। যিনি স্টিং অপারেশন চালিয়েছেন সাকিবের সাথে। প্রস্তাব দিয়ে ফাদে ফেলেছেন সাকিবকে!

চারদিকে কৌতূহল, কে এই দীপক আগারওয়াল?

ক্রিকেট বিশ্বে ফিক্সিংয়ের কথা শোনা গেলেই নাম আসে দীপক আগারওয়াল, অতনু কিংবা অনিল মুনায়ারের মতো কিছু নাম। ফিক্সিং নিয়ে বিখ্যাত বই ‘বুকি গ্যাম্বেল ফিক্সার স্পাই’-এ বলা হয়েছে ‘দীপক আগারওয়াল’ একটি ছদ্ম নাম। তিনি একজন ভারতীয়। থাকেন দুবাইতে।

২০১১ সালে রাজস্থানের উদয়পুর শহরের ঘন্টাঘর এলাকায় বিজয় কুমার নামে এক উঠতি ক্রিকেটার ক্রিকেট বেটিং চক্রে জড়িয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

নিজের সুইসাইড নোটে তিনি নিজের এই পরিণতির জন্য দায়ী করে গিয়েছিলেন দীপক আগরওয়ালকে। অভিযোগ করেছিলেন, দীপকই না কি তাকে ক্রিকেট জুয়ার চক্রে টেনে এনেছিলেন।

জুয়াড়িদের কালো তালিকা আছে আইসিসির কাছে। এদেরকে নাকি ট্র্যাকও করা হয়। তাহলে কখনো আটক করা হয় না কেন? এই বিতর্ক আছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই। এ নিয়ে কাতারভিত্তির টেলিভিশন আল জাজিরার এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ম্যাচই নাকি পাতাতে পারেন এই জুয়াড়িরা!

অজানা কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন ভারতীয় জুয়াড়িরা। অনিল মুনায়ারার কিংবা দীপক আগারওয়ালরা টিকে থাকেন সদর্পে, আর ভুল করে অন্ধকারে প্রবেশ করেন সাকিব আল হাসানরা।