সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যানুযায়ী, পাঁচ দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ-সম্পর্কিত আলোচনায় অংশ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, জেলা প্রশাসকদের সংশ্লিষ্ট জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে দুদকের কার্যক্রম দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এটা উভয় কর্তৃপক্ষের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ব্যাপক দ্বন্দ্বের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এরূপ সিদ্ধান্ত যদি হয়ে থাকে, তবে তা বিশেষ করে স্থানীয় দুদকের কার্যক্রমে অনাকাঙ্খিত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং অনৈতিক ও দুর্নীতি সহায়ক প্রভাবের যুক্তি সৃষ্টি করবে। দুদকের যতটুকু ক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা বজায়ের সুযোগ আইনগতভাবে দেয়া হয়েছে তাও সম্পূর্ণভাবে বিসর্জিত হবে। দুদকরে জন্য এরূপ সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী ও আত্মঘাতী।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, দুদক চেয়ারম্যান যৌক্তিকভাবেই উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসকগণ যদি দুদকের কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতি দেখেন তা দুদককে জানাতে হবে। এটা তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হাতে দুদকের দেখভালের এখতিয়ার অর্পিত হলে তা ব্যাপক স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করবে। আবার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের পথ চিরতরে রুদ্ধ হবে।