সারাদিন ডেস্ক:: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করেছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলর আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন।
এদিকে, ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে আরেকটি আবেদন করেন ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম খলিল। একই অভিযোগে সিলেট, খুলনা, ঝালকাঠি, নাটোর, কুষ্টিয়া ও যশোরের আদালতে আরও ৬টি মামলার আবেদন করা হয়। এর মধ্যে যশোরে করা মামলার আবেদনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পাশাপাশি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে। আর নাটোরে করা মামলার আবেদনটি সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে আগামী ৬ই আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির তিন কোটি ৭০ লাখ সদস্য গুম হওয়ার অভিযোগ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন প্রিয়া সাহা।
সম্প্রতি চীন, তুরস্ক, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমারসহ ১৬টি দেশে সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার হওয়া মানুষদের কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল হোয়াইট হাউসে। গত ১৬ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন তারা। ট্রাম্প যখন একে একে সবার বক্তব্য শুনছিলেন তখন বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে প্রিয়া সাহা জানান, বাংলাদেশে হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রীস্টানরা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। তাদের রক্ষা করতে এবং বাংলাদেশে তারা থাকতে চায় বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহযোগিতা চান তিনি।
প্রিয়া সাহার সাথে ট্রাম্পের কথোপকথনের ভিডিওটি অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এক দিনের মধ্যেই। ফেসবুকসহ নানা প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় বিতর্ক। সরকারের মন্ত্রীরাও কথা বলতে শুরু করেন এ বিষয়টি নিয়ে। ঠিক ওই সময়ই ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার ঘোষণা দেন।
তবে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা সঠিক নয় বলে জানানঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ানোর কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’