ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

‘মন্ত্রীগিরি পেলে মাথা ঠাণ্ডা, না পেলেই বিপ্লব পয়দা হয়’

এই মেনন সাহেবদের আমি এক সময় মনে মনে শ্রদ্ধা করতাম। মনে করতাম মেনন সাহেব এবং আরও কয়েকজন আছেন, যারা লোভী মানুষ না।

আমার মতো অনেকেরই এমন ভুল ধারণা ছিল। আজ বাংলাদেশের কোনো মানুষের এদের সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা পেতে আর বাকি নেই। মন্ত্রীগিরি পেলেই মাথা ঠাণ্ডা, না পেলে তখন বিপ্লব পয়দা হয়! আগের মেনন আর আজকের মেনন আকাশ পাতাল ফারাক।

ভিকারুন্নেসা স্কুলে ভর্তি করতে টাকা নেওয়া মেননকে বাংলাদেশ চিনতো না। ক্যাসিনো চালানো ক্লাবের সভাপতি মেননকে মানুষ আগে চিনতো না।

আগে মন্ত্রী হতে পারেনি বলে ওনারা সুযোগের অভাবে সৎ ছিলেন, এখন মুখোশ খুলে গেছে।

গ্রেফতারের ভয়ে বিরাট ভাষণ দিয়েছেন আজ। কথা বলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। বলেছেন, ‘নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি।’

মারহাবা মারহাবা –

ভোটের পরের দিন এই ভাষণ তিনি দিলেন না কেন? মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার পরও তিনি লাইন মতোই চলেছেন, কিন্তু এখন হঠাৎ কেন এই ভাষণ?

তিনি বলেন যে, ‘দেশে কোন ভোট হয়নি, তিনি সাক্ষী!’ কিন্তু তিনি এমপিগিরি ছাড়ছেন না! তিনি আসলে বাঁচতে চাচ্ছেন!

ক্যাসিনোর টাকা কীভাবে পেতেন সকল প্রমাণ সরকারের হাতে, মন্ত্রী থাকাকালীন কি কি করেছেন সকল হিসেব সরকারের হাতে, ভিকারুন্নেসা স্কুলের হিসেব সরকারের হাতে।

তিনি যেভাবেই হোক জেনে গেছেন যে, তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তাই তিনি আজ এমন জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন। যাতে মানুষ মনে করে যে, এই ভাষণের জন্য তাকে ধরা হয়েছে!

মেনন সাহেবের বোঝা উচিৎ, আজ উনার শত কোটি টাকা আছে কিন্তু সম্মান, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা, সততার মুখোশ – কিছুই নাই।

এ টাইপের মানুষদের সম্মান থাকে না! তাদের বক্তব্য হাসির খোরাক জোগায়। মেনন সাহেবের বক্তব্য নিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও হাসাহাসি করছে!

এ ধরনের মানুষরা কখন, কেন, কি বক্তব্য দেন মানুষ সবই বোঝে! মেননের এই করুণ পরিণতি দেখে খুবই ভালো লাগছে…

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

‘মন্ত্রীগিরি পেলে মাথা ঠাণ্ডা, না পেলেই বিপ্লব পয়দা হয়’

আপডেট টাইম ০৮:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯

এই মেনন সাহেবদের আমি এক সময় মনে মনে শ্রদ্ধা করতাম। মনে করতাম মেনন সাহেব এবং আরও কয়েকজন আছেন, যারা লোভী মানুষ না।

আমার মতো অনেকেরই এমন ভুল ধারণা ছিল। আজ বাংলাদেশের কোনো মানুষের এদের সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা পেতে আর বাকি নেই। মন্ত্রীগিরি পেলেই মাথা ঠাণ্ডা, না পেলে তখন বিপ্লব পয়দা হয়! আগের মেনন আর আজকের মেনন আকাশ পাতাল ফারাক।

ভিকারুন্নেসা স্কুলে ভর্তি করতে টাকা নেওয়া মেননকে বাংলাদেশ চিনতো না। ক্যাসিনো চালানো ক্লাবের সভাপতি মেননকে মানুষ আগে চিনতো না।

আগে মন্ত্রী হতে পারেনি বলে ওনারা সুযোগের অভাবে সৎ ছিলেন, এখন মুখোশ খুলে গেছে।

গ্রেফতারের ভয়ে বিরাট ভাষণ দিয়েছেন আজ। কথা বলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। বলেছেন, ‘নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি।’

মারহাবা মারহাবা –

ভোটের পরের দিন এই ভাষণ তিনি দিলেন না কেন? মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার পরও তিনি লাইন মতোই চলেছেন, কিন্তু এখন হঠাৎ কেন এই ভাষণ?

তিনি বলেন যে, ‘দেশে কোন ভোট হয়নি, তিনি সাক্ষী!’ কিন্তু তিনি এমপিগিরি ছাড়ছেন না! তিনি আসলে বাঁচতে চাচ্ছেন!

ক্যাসিনোর টাকা কীভাবে পেতেন সকল প্রমাণ সরকারের হাতে, মন্ত্রী থাকাকালীন কি কি করেছেন সকল হিসেব সরকারের হাতে, ভিকারুন্নেসা স্কুলের হিসেব সরকারের হাতে।

তিনি যেভাবেই হোক জেনে গেছেন যে, তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। তাই তিনি আজ এমন জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছেন। যাতে মানুষ মনে করে যে, এই ভাষণের জন্য তাকে ধরা হয়েছে!

মেনন সাহেবের বোঝা উচিৎ, আজ উনার শত কোটি টাকা আছে কিন্তু সম্মান, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা, সততার মুখোশ – কিছুই নাই।

এ টাইপের মানুষদের সম্মান থাকে না! তাদের বক্তব্য হাসির খোরাক জোগায়। মেনন সাহেবের বক্তব্য নিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও হাসাহাসি করছে!

এ ধরনের মানুষরা কখন, কেন, কি বক্তব্য দেন মানুষ সবই বোঝে! মেননের এই করুণ পরিণতি দেখে খুবই ভালো লাগছে…

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ।