ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

”নগ্ন বা প্রায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে নবাগত অভিনেত্রীদের বাধ্য করা হয়”

মোসলিমা খাতুন,সারাদিন ডেস্ক::অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রের মূল নায়ক হিসেবে স্টিভেন সিগালের বেশ সুনাম আছে। তাঁর বেশির ভাগ সিনেমায় তিনিই থাকেন মূল চরিত্রে। ২০০৭ সালে ‘ফ্লাইট অব ফিউরি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই ছবিতে নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে কাজ পেয়েছিলেন সিয়েরা পেটন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। নবাগত বলেই নির্ধারিত চিত্রনাট্যে না থাকা নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

হলিউডের চলচ্চিত্রে এভাবে নবাগত নারী অভিনেত্রীদের তো বটেই, অনেক সময় প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য জোরজবরদস্তি করা হয় বলে অভিযোগ। নবাগত হলে অবস্থা হয় বেশি বেগতিক। সে ক্ষেত্রে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে রাজি না হলে কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই খোয়াতে হয় কাজ। আবার অন্য পরিচালকদের কানেও ওই অভিনেত্রীর দুর্নাম ছড়ানো হয়।ফ্লাইট অব ফিউরি’তে অভিনয়ের জন্য সিয়েরা পেটনকে যেতে হয়েছিল রোমানিয়া। উড়োজাহাজ থেকে নেমেই শুটিং স্পটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, চিত্রনাট্যে না থাকলেও স্নানের পর সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে আপত্তি জানালে, স্বয়ং স্টিভেন সিগাল সিয়েরাকে জিজ্ঞেস করে বসেন, ‘তুমি কি কোমর পর্যন্তও দেখাবে না?’ পরে পেটন জানতে পারেন, শুধু নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করার জন্যই নাকি তাঁকে ছবিটিতে নেওয়া হয়েছিল!

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, নগ্ন বা প্রায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে নবাগত অভিনেত্রীদের বাধ্য করা হয়। এমন একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যারিয়ারের শুরুতে একজন নারী শিল্পীর তেমন কোনো প্রভাব থাকে না। শুটিং স্পটে বা পরিচালকদের কাছে তাঁরা মতামত জানাতে পারেন না। এ ছাড়া হলিউডে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার তাড়নাও থাকে। অনেকে মনে করেন, যদি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে না করা হয়, তবে হয়তো বাদ পড়ে যাবেন! কেউ কেউ কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কাও করেন। এমন প্রভূত মানসিক চাপ ও শুটিং স্পটের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের কারণে, সায় না থাকলেও নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বাধ্য হন তাঁরা।

দ্য ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হলিউডের সিনেমায় এখন আর রেললাইনে নায়িকাদের বেঁধে রাখা হয় না। তাঁকে উদ্ধারে দৌড়ে আসে না নায়ক। কিন্তু তাই বলে হলিউডি ছবিতে নারীদের গুরুত্ব বাড়েনি। এই একবিংশ শতাব্দীতেও একঘেয়ে চরিত্রেই অভিনয় করতে হচ্ছে বেশির ভাগ অভিনেত্রীদের। এখনো বেশি সংলাপ বরাদ্দ থাকে অভিনেতার জন্য। আর অভিনেত্রীদের খসাতে হয় কাপড়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারণ হলিউডে বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে পুরুষদের হাতে।

তবে হলিউড সব সময় নগ্নতার ওপর নির্ভরশীল ছিল না। বিংশ শতাব্দীর প্রথম কয়েক দশক হলিউডে নগ্নতার বিষয়ে একধরনের আরোপিত সেন্সরশিপ ছিল। এর কারণ হলো ওই সময়ে জারি থাকা মোশন পিকচার প্রোডাকশন কোড। তাতে নগ্ন দৃশ্যের ব্যাপারে কিছু কড়াকড়ি ছিল। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি এই আগল খুলে যায়। তখন ওই কোড শিথিল করা হয়। এতে চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নগ্ন হতে আর বাধা রইল না।

কিন্তু পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে নগ্নতার এই নিয়ম সমানভাবে কার্যকর হয়নি। এখানেও আছে বৈষম্য। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে একটি জরিপে পাওয়া তথ্য জানানো হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানেবার্গ ইনক্লুশন ইনিশিয়েটিভ ২০১৬ সালে এই জরিপ চালায়। তাতে দেখা গেছে, ওই বছরে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ১০০ চলচ্চিত্রে অনেক বিখ্যাত অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন। এঁদের মধ্যে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ অভিনেত্রীকে। অন্যদিকে অভিনেতাদের ক্ষেত্রে এটি মাত্র ৯ দশমিক ২ শতাংশ। আর হলিউডে পুরুষ ও নারী শিল্পীদের মধ্যে এই ব্যবধান নতুন কিছু নয়। জরিপে বলা হয়েছে, ২০০৬ সাল থেকে চিত্রটি এমনই।

হলিউডে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংগঠন হলো এসএজি-এএফটিআরএ। নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই সংগঠনটির বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এর মধ্যে অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার ও টেলিভিশন প্রযোজকদের সঙ্গে মুলোমুলি করার অধিকারও কলাকুশলীদের দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, নগ্ন দৃশ্যের কথা অডিশনের আগেই সংশ্লিষ্ট শিল্পীকে জানাতে হবে এবং শিল্পীর লিখিত সম্মতি পেতে হবে। কিন্তু এগুলো দেখভালের জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব ন্যূনতম নিয়ম মানা হয় না হলিউডে। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক একটি বিনোদন-সংক্রান্ত আইনি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার লোন ড্যাং ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘এগুলো একেবারেই ন্যূনতম কিছু নিয়ম। নগ্ন দৃশ্যের বিষয়ে এর বাইরে গিয়েই আলোচনা চলে।’ তিনি আরও বলেন, বেশির ভাগ সময় মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে এগুলো ঠিক হয়। আর শিল্পীর সঙ্গে এই চুক্তি হয় পরিচালক বা প্রযোজকের।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

”নগ্ন বা প্রায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে নবাগত অভিনেত্রীদের বাধ্য করা হয়”

আপডেট টাইম ০৭:২৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মার্চ ২০১৮

মোসলিমা খাতুন,সারাদিন ডেস্ক::অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্রের মূল নায়ক হিসেবে স্টিভেন সিগালের বেশ সুনাম আছে। তাঁর বেশির ভাগ সিনেমায় তিনিই থাকেন মূল চরিত্রে। ২০০৭ সালে ‘ফ্লাইট অব ফিউরি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই ছবিতে নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে কাজ পেয়েছিলেন সিয়েরা পেটন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। নবাগত বলেই নির্ধারিত চিত্রনাট্যে না থাকা নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

হলিউডের চলচ্চিত্রে এভাবে নবাগত নারী অভিনেত্রীদের তো বটেই, অনেক সময় প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য জোরজবরদস্তি করা হয় বলে অভিযোগ। নবাগত হলে অবস্থা হয় বেশি বেগতিক। সে ক্ষেত্রে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে রাজি না হলে কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই খোয়াতে হয় কাজ। আবার অন্য পরিচালকদের কানেও ওই অভিনেত্রীর দুর্নাম ছড়ানো হয়।ফ্লাইট অব ফিউরি’তে অভিনয়ের জন্য সিয়েরা পেটনকে যেতে হয়েছিল রোমানিয়া। উড়োজাহাজ থেকে নেমেই শুটিং স্পটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, চিত্রনাট্যে না থাকলেও স্নানের পর সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে আপত্তি জানালে, স্বয়ং স্টিভেন সিগাল সিয়েরাকে জিজ্ঞেস করে বসেন, ‘তুমি কি কোমর পর্যন্তও দেখাবে না?’ পরে পেটন জানতে পারেন, শুধু নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করার জন্যই নাকি তাঁকে ছবিটিতে নেওয়া হয়েছিল!

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, নগ্ন বা প্রায় নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে নবাগত অভিনেত্রীদের বাধ্য করা হয়। এমন একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যারিয়ারের শুরুতে একজন নারী শিল্পীর তেমন কোনো প্রভাব থাকে না। শুটিং স্পটে বা পরিচালকদের কাছে তাঁরা মতামত জানাতে পারেন না। এ ছাড়া হলিউডে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার তাড়নাও থাকে। অনেকে মনে করেন, যদি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ে না করা হয়, তবে হয়তো বাদ পড়ে যাবেন! কেউ কেউ কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কাও করেন। এমন প্রভূত মানসিক চাপ ও শুটিং স্পটের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের কারণে, সায় না থাকলেও নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বাধ্য হন তাঁরা।

দ্য ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হলিউডের সিনেমায় এখন আর রেললাইনে নায়িকাদের বেঁধে রাখা হয় না। তাঁকে উদ্ধারে দৌড়ে আসে না নায়ক। কিন্তু তাই বলে হলিউডি ছবিতে নারীদের গুরুত্ব বাড়েনি। এই একবিংশ শতাব্দীতেও একঘেয়ে চরিত্রেই অভিনয় করতে হচ্ছে বেশির ভাগ অভিনেত্রীদের। এখনো বেশি সংলাপ বরাদ্দ থাকে অভিনেতার জন্য। আর অভিনেত্রীদের খসাতে হয় কাপড়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারণ হলিউডে বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে পুরুষদের হাতে।

তবে হলিউড সব সময় নগ্নতার ওপর নির্ভরশীল ছিল না। বিংশ শতাব্দীর প্রথম কয়েক দশক হলিউডে নগ্নতার বিষয়ে একধরনের আরোপিত সেন্সরশিপ ছিল। এর কারণ হলো ওই সময়ে জারি থাকা মোশন পিকচার প্রোডাকশন কোড। তাতে নগ্ন দৃশ্যের ব্যাপারে কিছু কড়াকড়ি ছিল। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি এই আগল খুলে যায়। তখন ওই কোড শিথিল করা হয়। এতে চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নগ্ন হতে আর বাধা রইল না।

কিন্তু পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে নগ্নতার এই নিয়ম সমানভাবে কার্যকর হয়নি। এখানেও আছে বৈষম্য। ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে একটি জরিপে পাওয়া তথ্য জানানো হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যানেবার্গ ইনক্লুশন ইনিশিয়েটিভ ২০১৬ সালে এই জরিপ চালায়। তাতে দেখা গেছে, ওই বছরে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ১০০ চলচ্চিত্রে অনেক বিখ্যাত অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন। এঁদের মধ্যে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ অভিনেত্রীকে। অন্যদিকে অভিনেতাদের ক্ষেত্রে এটি মাত্র ৯ দশমিক ২ শতাংশ। আর হলিউডে পুরুষ ও নারী শিল্পীদের মধ্যে এই ব্যবধান নতুন কিছু নয়। জরিপে বলা হয়েছে, ২০০৬ সাল থেকে চিত্রটি এমনই।

হলিউডে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংগঠন হলো এসএজি-এএফটিআরএ। নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই সংগঠনটির বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। এর মধ্যে অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার ও টেলিভিশন প্রযোজকদের সঙ্গে মুলোমুলি করার অধিকারও কলাকুশলীদের দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, নগ্ন দৃশ্যের কথা অডিশনের আগেই সংশ্লিষ্ট শিল্পীকে জানাতে হবে এবং শিল্পীর লিখিত সম্মতি পেতে হবে। কিন্তু এগুলো দেখভালের জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব ন্যূনতম নিয়ম মানা হয় না হলিউডে। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক একটি বিনোদন-সংক্রান্ত আইনি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার লোন ড্যাং ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘এগুলো একেবারেই ন্যূনতম কিছু নিয়ম। নগ্ন দৃশ্যের বিষয়ে এর বাইরে গিয়েই আলোচনা চলে।’ তিনি আরও বলেন, বেশির ভাগ সময় মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে এগুলো ঠিক হয়। আর শিল্পীর সঙ্গে এই চুক্তি হয় পরিচালক বা প্রযোজকের।