দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে র্যাবের একটি দল তাদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করেছে। আদালতের খাস কামরায় দুপুর থেকে তাদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ৪ পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।
গত ২৪ আগস্ট তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। গত ৬ সেপ্টেম্বর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় র্যাব।
এ মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে এর আগে প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
এর আগে পুলিশের অপর তিন সদস্য ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়। লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ রাজি হননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএন এর ৩ সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।