এরইমধ্যে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য মিশিগানের ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট জিতে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। ফলে ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে জয়ের দোরঘোরায় বাইডেন। নেভাদার ৬ ভোট পেলেই আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হবেন বাইডেন। অন্যদিকে ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট। ফলাফল বাকি আছে আরও পাঁচটি রাজ্যের। সেগুলো হলো- জর্জিয়া ১৬টি, আলাস্কা ৩টি, মিশিগান ১৬টি, নেভাদা ৬টি, নর্থ ক্যারোলাইনা ১৫টি এবং পেনসিলভেনিয়া ২০টি।
বাইডেন বলেন, নিজেকে জয়ী ঘোষণা করতে আসিনি। তবে তার জয় এখন স্পষ্ট। রানিং মেট কলমা হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে দেওয়া ভাষণে বাইডেন আবার ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। বলেছেন, লাল-নীল বিভেদ তিনি মুছে দিতে চান।
মার্কিন ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া বাইডেন বলেন , ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে এক সভায় বাইডেন বলেন, ‘এখন সময় তাই করা, যা আমেরিকান হিসেবে আমরা সব সময় করে এসেছি—প্রচারণার সময়ে কড়া বক্তব্য পেছনে ফেলে, উত্তেজনা কমিয়ে ফেলা। একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করে অন্যজনের প্রতি মনোযোগী হওয়া। একে অন্যের কথা শোনা এবং একে অন্যের প্রতি যত্নবান হওয়া ও সম্মান দেওয়া। আর জাতি হিসেবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আমেরিকার মূল শক্তি তাদের জনগণ। জনগণ যা চায় তাই হয় বলে মনে করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘এখানে জনগণ শাসন করে। ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া কিংবা জাহির করা যায় না। এটি জনগণের কাছ থেকেই আসে। জনগণের ইচ্ছাই নির্ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হবেন।’ একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের মতো দেশ শাসন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার ইতিহাসে এবারই প্রথম এত মানুষ ভোট দিয়েছে। আমি মনে করি এটি বিস্ময়কর! এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমেরিকার সরকার জনগণ কর্তৃক, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য নির্বাচিত সরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমি এখানে বিজয় ঘোষণা করতে আসিনি। কিন্তু বলতে এসেছি, ভোট গণনা শেষ হলে আমার বিশ্বাস আমরাই জিতব।’