ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দিনমজুর ও কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত চন্দু একবার বস্তারের তোকপাল এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি লাগাতে যান। সেখানে ২১ বছরের কাশ্যপের প্রেমে পড়েন। দুজন বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিনা বাঘেল (২০) নামে অন্য এক তরুণীর প্রেমে পড়েন চন্দু। সেই ভালোবাসাও অগ্রাহ্য করতে পারেন না।
চন্দু জানান, তার প্রেমিকা রয়েছে জেনেও হাসিনা তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চান। এরপর চন্দু তার দুই প্রেমিকার মধ্যে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনজন একসঙ্গে চন্দুর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাসিনার পরিবারের লোকজন উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না কাশ্যপের পরিবারের কেউ।
গত ৫ জানুয়ারি শাস্ত্রমতে বিয়ে হয় তিনজনের। প্রায় ৫০০ জন নিমন্ত্রিত অতিথি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের ভিডিও ও তিনজনের নাম লেখা নিমন্ত্রণপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
চন্দু জানান, দুজনই তাকে ভালবাসেন। তাই তিনি কাউকেই ঠকাতে পারবেন না। এ কারণে দুজনকেই একসঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুই স্ত্রী নিয়ে তার বিবাহিত জীবন আরো সুন্দর হবে বলেই আশা করছেন তিনি।