ডিজিটাল:: লন্ডনের পাতালরেলে ভ্রমণকারী যাত্রীরা আংশিকভাবে পালন করলেন ‘নো ট্রাউজার্স টিউব রাইড।’ ২০২০ সালের মার্চ মাসে মহামারী আঘাতের পর থেকে এই উদযাপন বন্ধ ছিল, যা আবারো ফিরে এলো রাজধানীতে। অনেকেই এই ‘নো ট্রাউজার’ উদযাপনে শামিল হন। ২০ বছর আগে নিউ ইয়র্কের আটলান্টিকের অপর প্রান্তে এই প্রথার প্রথম শুরু হয়েছিল। নিউইয়র্কে শুরু হওয়া এই ইভেন্টে শত শত লোককে তাদের অন্তর্বাস পরে ভ্রমণ করতে দেখা গিয়েছিলো। লন্ডনের এলিজাবেথ লাইন, যা গত বছর খোলা হয়েছিল, সেটি প্রথম ট্রাউজার-মুক্ত যাত্রীদের স্বাগত জানায়। দ্য স্টিফ আপার লিপ সোসাইটি দ্বারা সংগঠিত ইভেন্টে ভ্রমণকারীদের শরীরের ওপরের অংশে অফিসের স্মার্ট পোশাক পরিধান করার পাশাপাশি তাদের শরীরের নীচের অর্ধেক অংশে শুধু অন্তর্বাস, জুতা এবং মোজা পরতে দেখা গেছে। ইভেন্টটি বিশ্বব্যাপী নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইডের একটি অংশ, যা ২০০২ সালে নিউ ইয়র্কে শুরু হয়েছিল এবং তারপর থেকে এটি সারা বিশ্বের ৬০টিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০২ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে একটি কমেডি পারফরম্যান্স আর্ট গ্রুপ ইমপ্রভ এভরিহোয়ার অদ্ভুত ইভেন্টটি তৈরি করেছিলো। মিশনটি সাতজন লোকের সাথে একটি ছোট প্র্যাঙ্ক হিসাবে শুরু হয়েছিল এবং এখন এটি একটি আন্তর্জাতিক উদযাপনে পরিণত হয়েছে। ইমপ্রোভ এভরিহোয়ারের ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রতি বছর বিশ্বের কয়েক ডজন শহর অংশগ্রহণ করে।
চোখ ধাঁধানো ইভেন্টের সময় তোলা ফটোগুলিতে দেখা গেছে যে লোকেরা আকস্মিকভাবে পাতাল রেলে চড়ছে এবং তাদের নিম্নাংশে কোনো ট্রাউসার নেই। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের বিনা অস্বস্তিতে স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়ানো উচিত। যেন তাঁরা তাঁদের প্যান্ট ভুলে বাড়িতে ফেলে এসেছে। এই ইভেন্টের মূল ধারণাটি হল নিম্নাঙ্গে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে মেট্রোরেলে চড়া। এই অনুষ্ঠানের কোনও কারণ নেই, নেই কোনও মহৎ উদ্দেশ্য। এর একমাত্র কারণ মজা।