ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::জেলার পীরগঞ্জ থানায় রুজু হওয়া ধর্ষন ও সাইবার ক্রাইম’র ২ টি মামলার প্রধান আসামীর সাথে পুলিশের সখ্যতার কারনে দেড় মাসেও আসামীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে মামলার বাদিনীর অভিযোগ পুলিশ আসামীদের পক্ষ নিয়ে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্ঠা করছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভনে ফেলে পীরগঞ্জ উপজেলার এক মহিলার সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ও মেলামেশার পর বিবাহে অস্বীকৃতি জানায় লম্পট রেজা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শহরের গোয়ালপাড়া বড়বাড়ীর বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম রেজা তার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালপত্র জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করার সুবাদে নিজেকে কেয়ার ডায়াগনষ্টিক ও ক্লিনিকের মালিক পরিচয় দিয়ে প্রতারনামূলক সম্পর্ক গড়ে গোপনে মেলামেশার ভিডিও ও ছবি মোবাইলে ধারন করে। পরবর্তিতে বিবাহে অস্বীকৃতি সহ ন্যুঢ ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে য়োর হুমকি দিয়ে টাকা আদায় শেষে বিভিন্ন ব্যাক্তির মাধ্যমে নেট দুনিয়ায় আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে সামাজিকভাবে মহিলাকে অচল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে।
এ ঘটনায় খতিগ্রস্থ নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় ও সাইবার ক্রাইম কন্ট্রোল আইনের ৮(১)(২)(৩) ধারায় পৃথক ২ টি মামলা আদালত মাধ্যমে পীরগঞ্জ থানায় ৫.২.২৩ইং ৫/৩৩ নং ও ১৭.২.২৩ ইং ১৯/৪৭ নং মামলা রুজু করেন। মামলা রুজু হওয়ার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুকুল চন্দ্র সেন-(বিপি-৮০০০০৫৬৪১৮) চাঞ্চল্যকর এ মামলার আসামী গ্রেপ্তারে সখ্যম হননি। অথচ পুলিশের রহস্যজনক নীরবতায় আসামী দোর্দন্ড প্রতাপে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসামীর সাথে গোপন লেনদেনের মাধ্যমে আসামীকে মামলা থেকে বাচিয়ে দেয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর। প্রভাবশালী আসামী বিভিন্ন সময়ে ফোন করে বাদিনীকে এমন হুমকিও দিয়ে চলছেন, অথচ পুলিশ নির্বিকারের ভুমিকায়। জনগুরুত্বপূর্ন মামলার আসামী না ধরায় জনমনে পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মামলার আইও এসআই মুকুল চন্দ্র সেন এর বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসামী পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছেনা।