সোহেল তানভীর,ঠাকুরগাও:: বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি অত্যন্ত সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। জনগণ এখন তার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পার্লামেন্টে আইনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি পাশ করে। এর পরে পরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালে সেই বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হয়েছে। তখন কোন অরাজকতার সৃষ্টি হয় নি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এই বিধান অমান্য করে দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থেকে পরপর দুটি নির্বাচন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনগুলো দিয়েছে যেগুলোতে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি কারণ তারা সুষ্ঠভাবে নির্বাচন দিতে ব্যর্থ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সারাদেশে নির্যাতন, গ্রেফতার সহ সড়যন্ত্রমূলক ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। বিএনপির প্রতিটি নেতৃবৃন্দের বাড়িতে তারা তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়াও অপচেষ্টা করছে। এইভাবে তারা আগের রাত্রেই ভোট করে ফেলতেছে। বিরোধীদল যেন সামনে দাড়াতে না পারে তাই তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে।
রবিবার দুপুরে পৌর শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতেছি দলীয়ভাবে ক্ষমতায় থেকে এরকম কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবেনা। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে জনগনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। স্বাধীনভাবে নিজের ভোট তারা যাকে খুশি তাকে দিতে পারবে আমরা এরকম নির্বাচন চাই। সেই লক্ষে আমরা আন্দোলন করে চলেছি। এই আন্দোলনে হাজার হাজার নির্দোশ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তারপরেও আমরা থেমে থাকিনি। এসময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।