সারাদিন ডেস্ক::গ্রাহকদের সবচেয়ে মৌলিক যে আর্থিক সুবিধাটি ব্যাঙ্ক দেয়, সেটা হল সেভিংস অ্যাকাউন্ট। সাধারণ মানুষ সেভিংস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা জমা করতে পারে। এর উপর অবশ্য কম হলেও সুদ পাওয়া যায়। যে কোনও প্রয়োজনে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেও নেওয়া সম্ভব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি না কি বেসরকারি, কোন ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা লাভজনক? এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুদের হার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট তুলনা করে দেখতে হবে।
সুদের হার:
কোন ব্যাঙ্ক কত সুদ দিচ্ছে, অ্যাকাউন্ট খোলার আগে সেটা যাচাই করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ দীর্ঘমেয়াদে এটাই বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ন্যূনতম নগদ ব্যালেন্স:
অধিকাংশ ব্যাঙ্কেই ন্যূনতম নগদ ব্যালেন্স রাখতে হয়। সেটা সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা হতে পারে। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। আবার কিছু ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্টও খোলা যায়। অর্থাৎ ন্যূনতম ব্যালেন্সের প্রয়োজন নেই। গ্রাহক নিজের পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন।
প্রত্যাহার:
অনেক সেভিংস অ্যাকাউন্টেই মাসিক টাকা তোলার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়। আবার মাসে একটা অ্যাকাউন্ট থেকে কত বার টাকা তোলা যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করা থাকে। বিশেষজ্ঞরা এমন সেভিংস অ্যাকাউন্ট বেছে নিতে বলেন, যেখানে কোনও ফি ছাড়াই যত বার খুশি টাকা তোলা যায়।
ফি এবং চার্জ:
সেভিংস অ্যাকাউন্টে মাসিক ফি, ক্রস-কারেন্সি মার্ক-আপ, পিন রি-জেনারেশন ফি ইত্যাদি নানা ধরনের ফি নেওয়া হতে পারে। এছাড়া অ্যাকাউন্ট মেনটেনেন্স ফি নেওয়া হয়, যা সম্ভবত প্রতি বছর গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকেই কাটা হবে।
এসবিআই-এর সেভিংস অ্যাকাউন্ট:
১০ কোটি টাকার কম ব্যালেন্সে বার্ষিক ২.৭০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। ১০ কোটি এবং তার বেশি থাকলে বার্ষিক ৩.০০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়।
৫০ লক্ষ টাকার কমে সুদের হার ৩.০০ শতাংশ, ৫০ লক্ষ টাকার বেশি হলে ৩.৫০ শতাংশ।