ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিযোগ করেও প্রতিকার নেই, পীরগঞ্জে ১৫০ প্রাইমারী স্কুলে আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫০টি প্রাইমারী স্কুলে প্রায় দেড় কোটি টাকার আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, এসব স্কুলে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স বাবদ গড়ে স্কুল প্রতি প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ১৮৮টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতির যৌথ একাউন্টে এসব টাকা প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যৌথ স্বাক্ষরে পীরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে এসব টাকা উত্তোলন করে স্কুলের কাজে ব্যয় না করে যে যার মত করে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করেছেন। টাকা উত্তোলনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও যে উদ্দেশ্যে সরকার টাকা দিয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। স্লিপ ও রুটিন ম্যাইনটেন্সেসের টাকা কোন খাতে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যয় করেছেন তারো কোন তালিকা নেই কোন স্কুলে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে এই দূর্নীতি গুলো করে থাকেন বলে জানা গেছে। একাধিক বার স্থানীয় লোকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পায়নি। ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয় স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স টাকা মোটামুটি ভাবে ব্যয় করেছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব টাকা তছরুপ করেছে বলে জানা গেছে। এসব স্লিপ ও রুটিন মেইন্টেন্যান্স বরাদ্দ প্রতি বছরই হয়ে থাকে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

অভিযোগ করেও প্রতিকার নেই, পীরগঞ্জে ১৫০ প্রাইমারী স্কুলে আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৩:২০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:: জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫০টি প্রাইমারী স্কুলে প্রায় দেড় কোটি টাকার আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, এসব স্কুলে স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স বাবদ গড়ে স্কুল প্রতি প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ ১৮৮টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতির যৌথ একাউন্টে এসব টাকা প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যৌথ স্বাক্ষরে পীরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে এসব টাকা উত্তোলন করে স্কুলের কাজে ব্যয় না করে যে যার মত করে টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করেছেন। টাকা উত্তোলনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও যে উদ্দেশ্যে সরকার টাকা দিয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। স্লিপ ও রুটিন ম্যাইনটেন্সেসের টাকা কোন খাতে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যয় করেছেন তারো কোন তালিকা নেই কোন স্কুলে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে এই দূর্নীতি গুলো করে থাকেন বলে জানা গেছে। একাধিক বার স্থানীয় লোকজন উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পায়নি। ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয় স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স টাকা মোটামুটি ভাবে ব্যয় করেছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব টাকা তছরুপ করেছে বলে জানা গেছে। এসব স্লিপ ও রুটিন মেইন্টেন্যান্স বরাদ্দ প্রতি বছরই হয়ে থাকে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।