ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পল্টন হত্যার মাধ্যমে জামায়াতকে নিশ্চিহৃ করার ষঢ়যন্ত্র করা হয়েছিল- ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো: বেলাল হোসেন প্রধান পল্টন হত্যা দিবস উপলক্ষে জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক মন্ত্রীদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরকারকে হটকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক কে বিমানবন্দরে আটকে দিলো পুলিশ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ২ বিদেশি নাগরিক সাহাবুদ্দিন কিভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রশ্ন রিপনের রাষ্ট্রপতিকে বিদায় না করলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: শামসুজ্জামান দুদু বঙ্গভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ২

আজম রেহমান,ষ্টাফ রিপাের্টার::
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির মাইকিং করাকে কেন্দ্র করে রেদো সাহা এবং আলম সাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। রাতে মো. নুর আলম সাহার ছেলে মো. সোহেল এবং তমিজ উদ্দিনের ছেলে বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ৯টায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে রেদো সাহা ও আলম সাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে রেদো সাহা গ্রুপের লেলিনের ছেলে উৎপল গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য আহতরা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে তারেক রহমান নামে একটি ক্লাব আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মাইকিং বের করা হয় যার নেতৃত্ব দেন আখতারুল। তিনি গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম গ্রুপের সদস্য। আখতারুল নিজেকে তারেক রহমান ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন।

পরবর্তীতে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রেদো সাহা বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন পাঠিয়ে সেই মাইকিংয়ের মেমোরি কার্ড নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও আক্তারুলের লোকজন মাইকিং বের করে। পরে রেদো সাহার লোকজন আবার এলে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আখতারুল গ্রুপের শ্রাবণ, রেদো সাহা গ্রুপের উৎপলের বুকে খুর মারেন। এতে উৎপল গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে উৎপল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হন রেদো শাহা গ্রুপের, হাসান, নুর মোহাম্মদ, বাপ্পি ও মিলটন এবং আলম শাহ গ্রুপের রাশেদ অন্তর।

এ ঘটনায় উৎপলের মা করুনা রানী বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে এদিন রাতে সোহেল ও বুলবুলকে আটক করে পুলিশ।

গড়েয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সাহকে রাতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে তবে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে এখনই আমি কিছু বলতে পারছিনা পরে আপনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো।

এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি রেদো সাহা বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত্রে গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উৎপলের মা বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় একটি মামলা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এদিন রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পল্টন হত্যার মাধ্যমে জামায়াতকে নিশ্চিহৃ করার ষঢ়যন্ত্র করা হয়েছিল- ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো: বেলাল হোসেন প্রধান

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ২

আপডেট টাইম ০৪:২২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

আজম রেহমান,ষ্টাফ রিপাের্টার::
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির মাইকিং করাকে কেন্দ্র করে রেদো সাহা এবং আলম সাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। রাতে মো. নুর আলম সাহার ছেলে মো. সোহেল এবং তমিজ উদ্দিনের ছেলে বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ৯টায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে রেদো সাহা ও আলম সাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে রেদো সাহা গ্রুপের লেলিনের ছেলে উৎপল গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য আহতরা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে তারেক রহমান নামে একটি ক্লাব আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মাইকিং বের করা হয় যার নেতৃত্ব দেন আখতারুল। তিনি গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম গ্রুপের সদস্য। আখতারুল নিজেকে তারেক রহমান ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন।

পরবর্তীতে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রেদো সাহা বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন পাঠিয়ে সেই মাইকিংয়ের মেমোরি কার্ড নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও আক্তারুলের লোকজন মাইকিং বের করে। পরে রেদো সাহার লোকজন আবার এলে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আখতারুল গ্রুপের শ্রাবণ, রেদো সাহা গ্রুপের উৎপলের বুকে খুর মারেন। এতে উৎপল গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে উৎপল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হন রেদো শাহা গ্রুপের, হাসান, নুর মোহাম্মদ, বাপ্পি ও মিলটন এবং আলম শাহ গ্রুপের রাশেদ অন্তর।

এ ঘটনায় উৎপলের মা করুনা রানী বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে এদিন রাতে সোহেল ও বুলবুলকে আটক করে পুলিশ।

গড়েয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সাহকে রাতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে তবে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে এখনই আমি কিছু বলতে পারছিনা পরে আপনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো।

এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি রেদো সাহা বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত্রে গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উৎপলের মা বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় একটি মামলা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এদিন রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি।