সারাদিন ডেস্ক::জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে একেবারে নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা। বিগত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী এবারে নির্বাচনে অংশ নেবেন মর্মে ঘোষনা দিয়েছেন। এদিকে দলের উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন চখা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষনা দেয়ার পাশাপাশি মাঠে মাঠে ভোটারদের মুখোমুখি হয়ে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
ইতিমধ্যে এই প্রার্থী বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে যেতে শুরু করেছেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সারাদেশের পরিবেশ বিবেচনায় বিএনপি এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেনা মর্মে ঘোষনা দেয়ায় জাতীয় পার্টি এখানে বেশ আশাবাদি হয়ে উঠেছে জয়ের ব্যাপারে।
জাতীয় নির্বাচনে জয় পাবার পর বিএনপি এখন বেশ ক্লান্ত শ্রান্ত। বিএনপি’র সহযোগী জামাতের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক আবুল কাশেম এবারে নির্বচনে অংশ গ্রহন করবেননা। তাই ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন হেবিওয়েট প্রার্থী নেই এ উপজেলায়। ফলে জাতীয় পার্টি থেকে তারুন্যের অহংকার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মির্জা রুহুল আমীন চখা আট ঘাট বেধে নেমেছেন নির্বাচনী যুদ্ধে। তিনি বলেন এ উপজেলায় পাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক রয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ’র জনপ্রিয়তা এবং এলাকাবসীর প্রতি তার ভালবাসা ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড জাতীয় পার্টিকে বেশ গৌরব ও সম্মানজনক স্থানে রেখেছে। তাছাড়া মাঠে বিএনপি-জামাতের প্রার্থী না থাকায় তাদের সম্পুর্ন ভোট জাতীয় পার্টি পাবে। তাই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া তার জন্য অত্যন্ত সহজ হবে। তরুন এবং ব্যবসায়ী প্রার্থী হিসেবে রুহুল আমীন চখার অর্থনৈতিক ভিত্তি যথেষ্ঠ মজবুত থাকায় নির্বাচনী ব্যায় বহন করাও তার জন্য খুব একটা কষ্ট সাধ্য্য হবেনা। জনসাধারনের সুখে দু:খে তিনি যথেষ্ঠ সাহায্য সহযোগীতার হাত প্রসারিত করতে সক্ষম হবেন।
এক সাক্ষাতকারে তিনি সংবাদ সারাদিন কে বলেন, দলের মনোনয়ন পেলে তিনি জয়লাভ করবেন এবং উপজেলাবাসীর জন্য উন্নত সেবা এবং উন্নত আধুনিক জীবনযাপনের লক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে কাজ করবেন।