আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজিবি’র গুলিতে ঘটনাস্থলে ৩ জন সহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে আরো ১ জন নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত ১৫ জন।
এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তিরা হলেন নবাব (৩০), সাদেক (৪০), জয়নুল (১৫) এবং চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেয়ার পথে অজ্ঞাতনামা ১ মহিলা নিহত হয়েছেন। নবাব হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও সাদেক একই গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে, বহরমপুর এলাকার নূর সিলামের ছেলে সাদেক। এ ঘটনায় আহতরা হলেন মিঠু, ইসাদিতি, সাদেকুল, রাসেল, মুনতাহারা, তৈমুর, জয়নুল, নওসাদ, বাবু, হান্নান ও নুরনেহার।
এলাকাবাসী জানান, পাশর্বর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার যাদুরাণীহাটে স্থানীয়রা গরু বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল। হাটে বিক্রির উদ্দেশে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি’র বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যগণ কয়েকটি গরু আটকায় ও এই গরু চোরাই ভারতীয় গরু বলে চ্যালেঞ্জ করে। এনিয়ে বিজিবি সদস্যদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয় ও এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজিবি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা যাবত বিজিবি শতাধিক রাউন্ড এলোপাথারি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে ১ জন সহ মোট ৪ জন নিহত হয় ও গুলিবিদ্ধ হয় কমপক্ষে ১৫ জন।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, গুলিবিদ্ধ ১৫ জনের শরীর থেকে গুলি বের করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর আহতদের রংপুর ও দিনাজপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
বিজিবি’র ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহা. মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিজিবি সদস্যগণ কয়েকটি অবৈধ গরু আটক করে নিয়ে আসার সময় বহরমপুর এলাকায় চোরাকারবারীরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে বিজিবি’র উপর হামলা চালায়। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এতে ঘটনাস্থলে দু’জন নিহত হন। চোরাকারবারীদের হামলায় দুজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে বলেও তিনি জানান।