আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::ঠাকুরগাঁও ডিসি’র সঙ্গে ডিজিএফআই পরিচয়ে প্রতারনার চেষ্টাকালে ৪ প্রতারকের ৭ দিন জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও ডিসির অফিস কক্ষে প্রতারণা করার সময় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাদন্ডাদেশ ভোগের জন্য জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার সাবুডাঙ্গা চেংমারি গ্রামের ইসমাইল হোসেন, ভান্ডারা গ্রামের রফিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম ও নন্দুয়া সন্দারই গ্রামের বাবর আলী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাকিম নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে ডিজিএফআই পরিচয়ে চার ব্যক্তি গণভবনের ডিজিএফআই কর্মকর্তা সাজ্জাদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের কক্ষে ঢুকে টেন্ডার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় জেলা প্রশাসকের সন্দেহ হলে তিনি গোপনে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে।’
এ সময় আটক প্রতারকদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল, চারটি মোবাইল ফোন সেট, নগদ ২২ হাজার ৭০৪ টাকা ও বিভিন্ন কাগজ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি জানান, ফোন পেয়ে পুলিশ জেলা প্রশাসকের কক্ষ থেকে চার প্রতারককে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দিলে পুলিশ তাদের ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠায়। প্রতারক চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে বলে জানান তিনি।