ফেনী প্রতিবেদক:: ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিচ্ছেন মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম।
রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এই দুই আসামিকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পর্যায়ক্রমে দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বদী পক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে দুই আসামির জবানবন্দি রাত ১১ টা পর্যন্ত চলছিল।
নুসরাত হত্যা মামলায় নুর উদ্দিন এজাহারভুক্ত দুই নম্বর ও শাহদাত হোসেন শামীম চার নম্বর আসামি। নূরকে ময়মনসিংহের ভালুকা এবং শামীমকে মুক্তাগাছা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসারছাত্রী নুসরাত এবছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানির’অভিযোগ এনে গত মার্চে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার।
সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা গত শনিবার পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শনিবার রাতেই ঢামেক হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গত বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শরীরে ৮০ ভাগ পুড়ে যাওয়া নুসরাতকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেও শারীরিক অবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি। নুসরাতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।