নিজস্ব প্রতিবেদক::সরকার দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমান অবৈধ সরকার দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়ার তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসনের কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, তিনি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করার মাধ্যমে বেগম জিয়া তার সে কাজ শুরু করেছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি যদি আজ মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন, তাহলে এরা (সরকার) নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। জনগণের যে স্রোত, যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে, সেই তরঙ্গে তারা ভেসে যাবে। এজন্য তাকে (খালেদা জিয়া) আটক করে রাখা হয়েছে। কিন্তু তাকে আটক রাখা যাবে না, জনগণ তাকে মুক্ত করে আনবে।’
খালেদা জিয়ার মতো ত্যাগী নেত্রী এশিয়া মহাদেশে নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এশিয়া মহাদেশে খালেদা জিয়ার মতো ত্যাগী নেত্রী খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি গণতন্ত্রের জন্য যে ত্যাগ শিকার করেছেন তা আর কোনো রাজনীতিবিদ করেননি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির স্ত্রী। তিনি রাজনীতি করে জেল খেটে এত কষ্ট না করে সারাজীবন আরাম আয়েশের জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে রাজনীতিতে এসেছেন। বেগম জিয়া দেশকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নারী শিক্ষাসহ প্রতিটি সেক্টরে কাজ করেছেন।’
বিএনপিকে ভাঙার জন্য নানা প্রকার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনো ভুয়া খবর বা গুজবে কান দেবেন না। বিএনপি দেশ নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশ থেকে আমাদের পরিচালনা করছেন। তিনি আমাদের যেই নির্দেশনা দিবেন আমরা সেই নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধ থাকবো।’
ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।