ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

চোট নিয়েও স্যামির দুই ছক্কায় তামিমদের জয়

সারাদিন ডেস্ক:: তামিম ইকবালের ভূমিকা ছিল এক প্রান্ত আগলে রাখার। অনেকটা পারলেও শেষ করে আসতে পারলেন না কাজ। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অভিষেকে সাব্বির রহমান পারলেন না শেষের দাবি মেটাতে। তার পরও জিতেছে তাদের দল। পায়ে চোট নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করতে নেমে পেশাওয়ার জালমিকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।

পিএসএলে বৃহস্পতিবার রাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পেশাওয়ার জালমি।

শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কোয়েটা ২০ ওভারে তোলে ১৪১ রান। ওপেনিংয়ে ৫ ছক্কায় ৩২ বলে ৪৭ করেন শেন ওয়াটসন। পাঁচে নেমে ২৫ বলে ৩৭ রাইলি রুশো।

পেশাওয়ারের উমাইদ আসিফ, ওয়াহাব রিয়াজ ও স্যামি নেন দুটি করে উইকেট।

রান তাড়ায় পেশাওয়ার চতুর্থ ওভারে হারায় কামরান আকমলকে। তিনে নেমে ১৪ বলে ২৩ করে ফেরেন ডোয়াইন স্মিথ।

তামিম শুরু করেছিলেন দৃষ্টিনন্দন কাভfর ড্রাইভে চার মেরে। তবে ক্রমেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কমিয়ে দেন শট খেলা। এগোচ্ছিলেন এক-দুই করে। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তার জুটিতে পেশাওয়ার ছিল নিয়ন্ত্রণেই। তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রান তোলেন দুজন।

এই জুটি ভাঙার পর পেশাওয়ারের পথ হারানো শুরু। ৩৪ বলে ২৯ রান করে ফেরেন হাফিজ। খানিক পর দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় তামিম হন রান আউট। ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৯ বলে ৩৭।

নিজের প্রথম ম্যাচেই সাব্বিরের সামনে ছিল নায়ক হওয়ার সুযোগ। বাঁহাতি পেসার রাহাত আলিকে প্যাডেল শটে চার মেরে আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই ফুল টসে ক্যাচ দেন সীমানায়। ১১ রান করেছেন ১১ বলে।

চোট নিয়েই তখন ব্যাটিংয়ে নামেন স্যামি। প্রথম বলটা যখন তিনি খেলছেন, দলের প্রয়োজন ৭ বলে ১৬। প্রথম বলেই ছক্কা!

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০। আনোয়ার আলির করা প্রথম বলে খালিদ উসমানের সিঙ্গেল। দ্বিতীয় বলে পুল করে আবার স্যামির ছক্কা। তৃতীয় বলে রান নেই। পরের বলে মিড অফ দিয়ে গুলির বেগে চার। উল্লাসে মাতে পেশাওয়ার।

পেশাওয়ারের বিজয় উল্লাসের মধ্যমনি স্যামি। চোট পাওয়া পায়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, বুক চিতিয়ে। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ৪ বলে ১৬ রানে ম্যাচ সেরা স্যামিই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

চোট নিয়েও স্যামির দুই ছক্কায় তামিমদের জয়

আপডেট টাইম ০৭:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক:: তামিম ইকবালের ভূমিকা ছিল এক প্রান্ত আগলে রাখার। অনেকটা পারলেও শেষ করে আসতে পারলেন না কাজ। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অভিষেকে সাব্বির রহমান পারলেন না শেষের দাবি মেটাতে। তার পরও জিতেছে তাদের দল। পায়ে চোট নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাট করতে নেমে পেশাওয়ার জালমিকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।

পিএসএলে বৃহস্পতিবার রাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পেশাওয়ার জালমি।

শারজাহতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কোয়েটা ২০ ওভারে তোলে ১৪১ রান। ওপেনিংয়ে ৫ ছক্কায় ৩২ বলে ৪৭ করেন শেন ওয়াটসন। পাঁচে নেমে ২৫ বলে ৩৭ রাইলি রুশো।

পেশাওয়ারের উমাইদ আসিফ, ওয়াহাব রিয়াজ ও স্যামি নেন দুটি করে উইকেট।

রান তাড়ায় পেশাওয়ার চতুর্থ ওভারে হারায় কামরান আকমলকে। তিনে নেমে ১৪ বলে ২৩ করে ফেরেন ডোয়াইন স্মিথ।

তামিম শুরু করেছিলেন দৃষ্টিনন্দন কাভfর ড্রাইভে চার মেরে। তবে ক্রমেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কমিয়ে দেন শট খেলা। এগোচ্ছিলেন এক-দুই করে। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তার জুটিতে পেশাওয়ার ছিল নিয়ন্ত্রণেই। তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রান তোলেন দুজন।

এই জুটি ভাঙার পর পেশাওয়ারের পথ হারানো শুরু। ৩৪ বলে ২৯ রান করে ফেরেন হাফিজ। খানিক পর দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় তামিম হন রান আউট। ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৯ বলে ৩৭।

নিজের প্রথম ম্যাচেই সাব্বিরের সামনে ছিল নায়ক হওয়ার সুযোগ। বাঁহাতি পেসার রাহাত আলিকে প্যাডেল শটে চার মেরে আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই ফুল টসে ক্যাচ দেন সীমানায়। ১১ রান করেছেন ১১ বলে।

চোট নিয়েই তখন ব্যাটিংয়ে নামেন স্যামি। প্রথম বলটা যখন তিনি খেলছেন, দলের প্রয়োজন ৭ বলে ১৬। প্রথম বলেই ছক্কা!

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০। আনোয়ার আলির করা প্রথম বলে খালিদ উসমানের সিঙ্গেল। দ্বিতীয় বলে পুল করে আবার স্যামির ছক্কা। তৃতীয় বলে রান নেই। পরের বলে মিড অফ দিয়ে গুলির বেগে চার। উল্লাসে মাতে পেশাওয়ার।

পেশাওয়ারের বিজয় উল্লাসের মধ্যমনি স্যামি। চোট পাওয়া পায়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, বুক চিতিয়ে। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ৪ বলে ১৬ রানে ম্যাচ সেরা স্যামিই।