আজ সোমবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্র্ষিকীর আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।
পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের নেতৃত্বে একটি র্যালী বের করা হয়।
র্যালী শেষে আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের কথাকটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সভামঞ্চের চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করে।
এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নিশান, ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হোসেন, রাজু, মামুন হোসেন, ফিরোজ আলম ও যুবলীগ নেতা আবদুর রেজ্জাক রিংকু, তাজু ভূঁইয়া, রোমেল, সৌরভ হোসেন, পারভেজ ও পুলিশের এসআই সোহেল মিয়াসহ ১৩ জন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা একে অপরকে দায়ি করছে।
এদিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৭০ পাউন্ড ওজনের একটি কেক কাটা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ জেলা ও ইউনিয়নের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।