ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবস্থা নিতে দুদকে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পিডিবিএফের এমডির সম্পদের পাহাড়

১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার:: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত পল্লী দারিদ্র্যবিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)- এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহা। এ কাজে তার সঙ্গী প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত পরিচালক (আইটি) সহিদ হোসেন সেলিম এবং যুগ্ম পরিচালক (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) শিপ্রা চক্রবর্তী। পিডিবিএফের এ তিন কর্মকর্তা আর্থিক  দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তাদের বিরুদ্ধে আনা ২৯ টি দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পেয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি। গত এপ্রিলে এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের কাছে জমা দিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। এরপর গত ১৯ শে জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিষ্ঠান-২ শাখা। ওই চিঠিতে পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন সাহাসহ তিন কর্মকর্তার আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুদকে পাঠানো চিঠি’র সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি, প্রমাণিত অভিযোগগুলোর সার-সংক্ষেপের কপি এবং অভিযোগপত্রের কপি পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ি ২য় গ্রেডে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ন্যুনতম ১৭ বছর চাকুরির মেয়াদ পূর্ণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন ২য় গ্রেডে ১৪ বছর ধরে বেতন ভাতা গ্রহণ করছেন। মদন মোহনের বেতন সীট পরীক্ষা করে তদন্ত কমিটি দেখতে পায় তিনি ১ম গ্রেডে বেতন উত্তোলন করেন। এটি বড় আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বলে মত দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া পিডিবিএফের প্রকল্প পরিচালক সহিদ হোসেন সেলিম এবং ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন সাহা টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের সাত কোটি ৭৪ লাখ টাকার কাজের বিপরীতে ৬০ লাখ টাকা কমিশনের নামে ঘুষ নেয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টে বলেছে, অভিযোগের বিষয়ে মদন মোহন সাহা এবং সহিদ হোসেন সেলিমের লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত নোট শীটের কপি দেখাতে পারেননি। সুতরাং, অভিযোগটি প্রমাণিত। তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার খরচের নাম করে পিডিবিএফের একাউন্ট থেকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা উঠিয়েছেন এমডি মদন মোহন। এ বিষয়ে নোটশীট অনুমোদনের কপি তদন্ত কমিটিকে দেখাতে পারেননি তিনি। এজন্য অভিযোগটি প্রমাণিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্টে ৫ নং অভিযোগে বলা হয়েছে, দরপত্র ছাড়াই কাগুজে কোম্পানি এক্সিলন বাংলাদেশ লিমিটেড এর গোপনে যোগসাজশ হয়। এজন্য ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন তার ড্রাইভার কুদ্দুস মোল্লার ভাগিনা মো. আশরাফের মাধ্যমে ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪০ টাকা নেন। এছাড়া আরেক কাগুজে কোম্পানি সলিশন ইলেকট্টনিক্সকে সোলারের কার্যাদেশ দেন এমডি মদন মোহন। তদন্তকালে এ কোম্পানির কোন ভ্যাট বা টিন রেজিস্ট্রেশন খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, পিডিবিএফে কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি লোক নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যবিবরনী জারির তারিখ এবং কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষরের তারিখ পায়নি। এজন্য বিষয়টিকে দুর্নীতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিটি। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য চালান মদন মোহন। তদন্ত কমিটি দেখেছে, নিয়ম কানুন না মেনে এমডি’র গাড়ি চালক নিয়োগ, পিডিবিএফ সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এসি ও উচ্চমূল্যের আসবাবপত্র, পদোন্নতিতে অনিয়ম করেছেন পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন। এদিকে পিডিবিএফের বোর্ড অব গভর্নসের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বে-সরকারি ব্যাংকে বিনিয়োগ করা যাবে না। অথচ চারটি বেসরকারি ব্যাংকে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন মদন মোহন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি’র প্রশ্নের জবাবে নিশ্চুপ ছিলেন ভারপ্রাপ্ত এমডি। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মদন মোহন সাহার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারনে গেল ছয় মাসে ৫২ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি বেড়েছে। এছাড়াও মদন মোহন সাহার কর্মকালীন গেল দুই বছরে তাঁর অদক্ষতা ও আর্থিক দুর্নীতির কারনে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তদন্ত রিপোর্টে এসব অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ ছাড়াও চাকুরির প্রবিধানমালা লঙ্গন করে জনৈক কর্মচারি হাবিবুর রহমানকে চাকুরিতে বহাল, সহিদ হোসেন সেলিমের স্থগিতকৃত বেআইনি পদোন্নতি আদেশ বহাল এবং এক কর্মকর্তার আত্মসাৎকৃত ৩২ লাখ টাকা মওকুফসহ দুর্নীতির নানা দালিলিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্টের শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)- এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহাকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও জবাব মেলেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের চিঠির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয়ার প্রক্রিয়া করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সহসাই ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন সাহাকে দুদকে হাজির হওয়ার চিঠি দেয়া হবে।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

ব্যবস্থা নিতে দুদকে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পিডিবিএফের এমডির সম্পদের পাহাড়

আপডেট টাইম ১১:৩১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার:: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত পল্লী দারিদ্র্যবিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)- এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহা। এ কাজে তার সঙ্গী প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত পরিচালক (আইটি) সহিদ হোসেন সেলিম এবং যুগ্ম পরিচালক (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) শিপ্রা চক্রবর্তী। পিডিবিএফের এ তিন কর্মকর্তা আর্থিক  দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তাদের বিরুদ্ধে আনা ২৯ টি দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পেয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি। গত এপ্রিলে এ সংক্রান্ত রিপোর্টটি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের কাছে জমা দিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। এরপর গত ১৯ শে জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবের কাছে একটি চিঠি দিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিষ্ঠান-২ শাখা। ওই চিঠিতে পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন সাহাসহ তিন কর্মকর্তার আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুদকে পাঠানো চিঠি’র সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি, প্রমাণিত অভিযোগগুলোর সার-সংক্ষেপের কপি এবং অভিযোগপত্রের কপি পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ি ২য় গ্রেডে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ন্যুনতম ১৭ বছর চাকুরির মেয়াদ পূর্ণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন ২য় গ্রেডে ১৪ বছর ধরে বেতন ভাতা গ্রহণ করছেন। মদন মোহনের বেতন সীট পরীক্ষা করে তদন্ত কমিটি দেখতে পায় তিনি ১ম গ্রেডে বেতন উত্তোলন করেন। এটি বড় আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি বলে মত দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া পিডিবিএফের প্রকল্প পরিচালক সহিদ হোসেন সেলিম এবং ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন সাহা টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের সাত কোটি ৭৪ লাখ টাকার কাজের বিপরীতে ৬০ লাখ টাকা কমিশনের নামে ঘুষ নেয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টে বলেছে, অভিযোগের বিষয়ে মদন মোহন সাহা এবং সহিদ হোসেন সেলিমের লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে অনুমোদিত নোট শীটের কপি দেখাতে পারেননি। সুতরাং, অভিযোগটি প্রমাণিত। তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার খরচের নাম করে পিডিবিএফের একাউন্ট থেকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা উঠিয়েছেন এমডি মদন মোহন। এ বিষয়ে নোটশীট অনুমোদনের কপি তদন্ত কমিটিকে দেখাতে পারেননি তিনি। এজন্য অভিযোগটি প্রমাণিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্টে ৫ নং অভিযোগে বলা হয়েছে, দরপত্র ছাড়াই কাগুজে কোম্পানি এক্সিলন বাংলাদেশ লিমিটেড এর গোপনে যোগসাজশ হয়। এজন্য ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন তার ড্রাইভার কুদ্দুস মোল্লার ভাগিনা মো. আশরাফের মাধ্যমে ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪০ টাকা নেন। এছাড়া আরেক কাগুজে কোম্পানি সলিশন ইলেকট্টনিক্সকে সোলারের কার্যাদেশ দেন এমডি মদন মোহন। তদন্তকালে এ কোম্পানির কোন ভ্যাট বা টিন রেজিস্ট্রেশন খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, পিডিবিএফে কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি লোক নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যবিবরনী জারির তারিখ এবং কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষরের তারিখ পায়নি। এজন্য বিষয়টিকে দুর্নীতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিটি। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য চালান মদন মোহন। তদন্ত কমিটি দেখেছে, নিয়ম কানুন না মেনে এমডি’র গাড়ি চালক নিয়োগ, পিডিবিএফ সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এসি ও উচ্চমূল্যের আসবাবপত্র, পদোন্নতিতে অনিয়ম করেছেন পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন। এদিকে পিডিবিএফের বোর্ড অব গভর্নসের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বে-সরকারি ব্যাংকে বিনিয়োগ করা যাবে না। অথচ চারটি বেসরকারি ব্যাংকে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন মদন মোহন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি’র প্রশ্নের জবাবে নিশ্চুপ ছিলেন ভারপ্রাপ্ত এমডি। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মদন মোহন সাহার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারনে গেল ছয় মাসে ৫২ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি বেড়েছে। এছাড়াও মদন মোহন সাহার কর্মকালীন গেল দুই বছরে তাঁর অদক্ষতা ও আর্থিক দুর্নীতির কারনে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তদন্ত রিপোর্টে এসব অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ ছাড়াও চাকুরির প্রবিধানমালা লঙ্গন করে জনৈক কর্মচারি হাবিবুর রহমানকে চাকুরিতে বহাল, সহিদ হোসেন সেলিমের স্থগিতকৃত বেআইনি পদোন্নতি আদেশ বহাল এবং এক কর্মকর্তার আত্মসাৎকৃত ৩২ লাখ টাকা মওকুফসহ দুর্নীতির নানা দালিলিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্টের শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)- এর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহাকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও জবাব মেলেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের চিঠির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয়ার প্রক্রিয়া করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সহসাই ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহন সাহাকে দুদকে হাজির হওয়ার চিঠি দেয়া হবে।