ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ভাতা পাবেন এই আশায় কাঠ ফাটাঁ রোদে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ৪’শতাধিক দরিদ্র মা পেলেন সামান্য কিছু ত্রাণ, তারা এসে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ ভাতা দেয়ার নাম করে তাদের এনে এই সামান্য ত্রাণ দেয়া হয়। একই সাথে এই ত্রাণ বিতরণে সামাজিক দূরত্ব না মেনে বিপদগ্রস্থ করা হয়েছে এই মা’দের ।
রোববার (৩ এপ্রিল) সালন্দর কমরুল হুদা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এমনই বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা।
সদর উপজেলার কালিগাঁও গ্রামের সীতা রাণী মাতৃত্বকালীন ভাতা নিতে এসে প্রায় ৩ ঘন্টা পর ভাতার বদলে পেলেন যৎ সামান্য চাল-আলু ও গুড়ো দুধ। লকডাউনের ভেতরে ৪শ ভাড়ায় অটো রিক্সা রিজার্ভ করে এসে জুটলো পাঁচ কেজি চাল, ১ কেজি আলু ও কিছু গুড়ো দুধ। যা তার পথ খরচও উঠেনি। তিনি জানান মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাতে ফোন দিয়ে তাকে আসতে বলেছিলেন সকাল সাড়ে ৯টায়।
শুধু সীতারাণী নয় তার মত সুমাইয়া, এলিজাসহ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ৪৪০ জন দরিদ্র মা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার ফোনে ছুটে এসেছিলেন তারা। ভাতা ভোগী এলিজার অভিযোগ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অপেক্ষার পর বেলা ১২টায় ভাতার বদলে মিললো যৎ সামান্য ত্রান। আখানগর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের জোৎ¯œা রাণী বলেন আগে জানিলে এতলা টাকা ( সাড়ে ৩’শ টাকা ) খরচ করে এই সামান্য রিলিফ নিতে আসতাম না। তার মত একই আক্ষেপ করেন অনেকে ।
বেগুন বাড়ী থেকে আসা শুনিল শর্মা জানান এখানে সামাজিক দুরত্ব না মেনে যে ভাবে একত্রিত হয়ে জটলা করে ছিল তাতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ তো দুূরের কথা এতে উল্টোটা ঘটবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিহারঞ্জন কুমার রায় বলেন আমার বলার কিছুই নেই, কর্তৃপক্ষের আদেশ পালন করেছি।
সংবাদ শিরোনাম
ভাতা নিতে এসে ৪’শতাধিক দরিদ্র মা পেলেন সামান্য কিছু ত্রাণ
- সংবাদ সারাদিন ডেস্ক :
- আপডেট টাইম ০৩:০৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০
- ৯০ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ