আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::প্রেমাদাসায় কাল ম্যাচের শেষ দিকে একটি দৃশ্য দেখা গেছে বেশ কবার। বোলারদের ডেকে আলোচনা করেছেন দিনেশ চান্ডিমাল। এতেও মুশফিকের চার-ছক্কা আটকাতে পারেননি, পারেননি দলের হার এড়াতে। আজ এর চেয়েও বড় দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে তাঁকে। ত্রিদেশীয় সিরিজের পরের দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন চান্ডিমাল।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে কাল চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটেছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে ২১৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। বোলিং পরিবর্তন ও পরিকল্পনা সাজাতে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ওভার সময় বেশি নিয়েছিল। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৫.১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ দলের সবাইকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে জরিমানা করা হয়েছে ২০ শতাংশ। দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দ্বিতীয় ইনিংসেও চার-ছক্কা কম হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করার চতুর্থ সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর এ ঘটনা আটকাতে বারবার ফিল্ডিং পজিশন পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন লঙ্কান অধিনায়ক। মুশফিক যখনই চার বাঁ ছয় মেরেছেন, বোলারদের নিয়ে আলোচনা করে মুশফিকের ‘রিদম’ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে মুশফিক মাঠের আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেছেন। ব্যাপারটা যে ম্যাচ রেফারিও চোখ এড়ায়নি, সেটা বোঝা গেছে ম্যাচের পরে।
শ্রীলঙ্কা দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চার ওভার কম বল করেছে। আইসিসির ২.৫.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রথম দুই ওভারের জন্য ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়। এর পরের প্রতি ওভারের জন্য ২০ শতাংশ জরিমানা। চার ওভার কম করায় শ্রীলঙ্কা একাদশের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ৬০ শতাংশ কেটে রাখা হবে। আর অধিনায়ক হিসেবে দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন চান্ডিমাল। দুই সাসপেনশন পয়েন্টের ফলে এক টেস্ট কিংবা দুটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হতে হয়।
চান্ডিমাল নিজে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। কিন্তু আজ বিকেলে শুনানির পরও ক্রিস ব্রড এ শাস্তি বহাল রেখেছেন।