ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

২৯ জন পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার একযোগে অব্যাহতির আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পাট অধিদপ্তরের সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অস্থায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত ৪৫ জেলার ২৯ জন পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা একযোগে নিজেদের চাকুরীতে ইস্তফার আবেদন দাখিল করেছে। অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান আবেদনটি পরবর্তী সদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য সচিবালয়ে প্রেরন করেছেন।
রিজাইনকারী কর্মকর্তারা বিধি বিধান লঙ্ঘন করে একযোগে একইরকম ভাবে পরষ্পর যোগসাজসে তাদের আবেদন দাখিল করেন যা থেকে অধিদপ্তরের চলমান কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকা অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে নানরকম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের মুখে এসব পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা তাদের উপর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে এবং দায়িত্বভার বুঝে না দিয়ে সরকারী কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। তারা উল্লেখ করেন ১ যুগেরও অধিক সময় ধরে চাকুরী করা কালে সমাপ্ত প্রকল্প থেকে তাদের চাকুরী অস্থায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হলেও তাদের পদটি এখন পর্যন্ত অধিদপ্তরের সাংগাঠনিক কাঠামোভুক্ত হয়নি এবং নিয়োগ বিধিতেও অন্তভুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া অধিদপ্তরের সমসাময়িক পদমর্যাদার সহকারী পরিচালক ও মুখ্য পরিদর্শক পদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে এসব কর্মকর্তাদের সাথে অশোভন আচরন করেন। দীর্ঘদিনেও চাকুরী নিযমিতকরন না হওয়া সহ নানান অভিযোগে তারা একযোগে অব্যাহতির আবেদন দাখিল করেন। আবেদন দাখিলকারীরা হলেন আলমগীর হোসেন-পঞ্চগড়, শেখ মাহাবুব আলম-মাগুড়া,এটিএম তৈবুর রহমান-কুড়িগ্রাম, মো.জাহাঙ্গীর আলম-জামালপুর, মো. আইয়ুব আল-িশেরপুর, জিয়াউর রহমান খান- সিরাজগঞ্জ, অসীম কুমার-ঠাকুরগ৭াও, আকরাম হোসেন-কিশোরগঞ্জ, নাজমুল আলম চৌ.-নেত্রকোনা, একেএম মাহাবুব আলম বিশ্বাস-রংপুর, দিলপি কুমার-দিনাজপুর, আব্দুল জলিল চাদপুর, শংকর রঞ্জন সরকার-গোপালগঞ্জ, জাকির হোসেন জুয়েল-যশোর, আব্দুল হালিম-বগুড়া, ওয়াহিদুজ্জামান খান-টাঙ্গাইল, মামুনুর রশিদ-পাবনা, আ.কা.ম হারুনার রশিদ-সাতক্ষিরা, আব্দুস সাত্তার মিয়া-লালমনিরহাট, আলমগীর হোসেন-শরিয়তপুর, আখতারুজ্জামান-নওগা, অজিত কুমার-রাজশাহী, আব্দুল আউয়াল সরকার-নীলফামারী, আতাউর রহমান-মানিকগঞ্জ, আজমত আলী আকন্দ রেজাউল-ময়মনসিংহ, আব্দুর রহিম সিদ্দিক-নরশিংদি, উজ্জল কান্তি বড়াল- চাপাইনবাবগঞ্জ ও হাফিজ উদ্দিন-বি-বাড়িয়া। অব্যাহতির আবেদনকারীদের আবেদনসমূহ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক অতিরিক্ত সচিব সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান ৩৪০ নং স্বারকে সুপারিশসহ সচিবালয়ে প্রেরণ করেছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

২৯ জন পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার একযোগে অব্যাহতির আবেদন

আপডেট টাইম ১২:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পাট অধিদপ্তরের সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অস্থায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত ৪৫ জেলার ২৯ জন পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা একযোগে নিজেদের চাকুরীতে ইস্তফার আবেদন দাখিল করেছে। অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান আবেদনটি পরবর্তী সদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য সচিবালয়ে প্রেরন করেছেন।
রিজাইনকারী কর্মকর্তারা বিধি বিধান লঙ্ঘন করে একযোগে একইরকম ভাবে পরষ্পর যোগসাজসে তাদের আবেদন দাখিল করেন যা থেকে অধিদপ্তরের চলমান কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকা অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে নানরকম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের মুখে এসব পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা তাদের উপর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে এবং দায়িত্বভার বুঝে না দিয়ে সরকারী কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তারা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। তারা উল্লেখ করেন ১ যুগেরও অধিক সময় ধরে চাকুরী করা কালে সমাপ্ত প্রকল্প থেকে তাদের চাকুরী অস্থায়ী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হলেও তাদের পদটি এখন পর্যন্ত অধিদপ্তরের সাংগাঠনিক কাঠামোভুক্ত হয়নি এবং নিয়োগ বিধিতেও অন্তভুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া অধিদপ্তরের সমসাময়িক পদমর্যাদার সহকারী পরিচালক ও মুখ্য পরিদর্শক পদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে এসব কর্মকর্তাদের সাথে অশোভন আচরন করেন। দীর্ঘদিনেও চাকুরী নিযমিতকরন না হওয়া সহ নানান অভিযোগে তারা একযোগে অব্যাহতির আবেদন দাখিল করেন। আবেদন দাখিলকারীরা হলেন আলমগীর হোসেন-পঞ্চগড়, শেখ মাহাবুব আলম-মাগুড়া,এটিএম তৈবুর রহমান-কুড়িগ্রাম, মো.জাহাঙ্গীর আলম-জামালপুর, মো. আইয়ুব আল-িশেরপুর, জিয়াউর রহমান খান- সিরাজগঞ্জ, অসীম কুমার-ঠাকুরগ৭াও, আকরাম হোসেন-কিশোরগঞ্জ, নাজমুল আলম চৌ.-নেত্রকোনা, একেএম মাহাবুব আলম বিশ্বাস-রংপুর, দিলপি কুমার-দিনাজপুর, আব্দুল জলিল চাদপুর, শংকর রঞ্জন সরকার-গোপালগঞ্জ, জাকির হোসেন জুয়েল-যশোর, আব্দুল হালিম-বগুড়া, ওয়াহিদুজ্জামান খান-টাঙ্গাইল, মামুনুর রশিদ-পাবনা, আ.কা.ম হারুনার রশিদ-সাতক্ষিরা, আব্দুস সাত্তার মিয়া-লালমনিরহাট, আলমগীর হোসেন-শরিয়তপুর, আখতারুজ্জামান-নওগা, অজিত কুমার-রাজশাহী, আব্দুল আউয়াল সরকার-নীলফামারী, আতাউর রহমান-মানিকগঞ্জ, আজমত আলী আকন্দ রেজাউল-ময়মনসিংহ, আব্দুর রহিম সিদ্দিক-নরশিংদি, উজ্জল কান্তি বড়াল- চাপাইনবাবগঞ্জ ও হাফিজ উদ্দিন-বি-বাড়িয়া। অব্যাহতির আবেদনকারীদের আবেদনসমূহ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক অতিরিক্ত সচিব সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান ৩৪০ নং স্বারকে সুপারিশসহ সচিবালয়ে প্রেরণ করেছেন।