ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবহেলায় ১৮ বছর পার

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি::ঢাকার ধামরাইয়ে অবজ্ঞা অবহেলায় ১৮ বছর পার করছে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের রোয়াইল গ্রামে জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কলেজটি। ভেঙে পড়ছে তার দেয়াল, ছাঁদ। নেই কোন তদারকি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই নেমে আসে কলেজটির ওপর কালো ছায়া। ২০০২ সালে সরকার পরিবর্তন হয়ে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে কলেজ ভবনের দেয়াল, ছাঁদ থেকে তার প্লাস্টার খসে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় কলেজটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

বর্তমানে কলেজটির এমন বেহাল অবস্থা যে এলাকার লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের শস্য কলেজের ভেতর রেখে দেয়। ভবনটির নেই কোন দরজা জানালা, নেই কোন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারি-কর্মকর্তা। কোন প্রকার তদারকি নেই। বর্তমানে অবজ্ঞাে কারণে কলেজটি আজ বিলুপ্তির পথে। জাতির জনকের স্মরণে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সঠিক উদ্যোগ আর তদারকির কারণে এমন অবস্থা কলেজটি।

একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ধামরাই সদর প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এই এলাকায় অবস্থিত। যদি বঙ্গবন্ধু কলেজটি চালু থাকতো তবে আমাদের ছেলে মেয়েদের এতো দূর দূরান্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হতো না। আবার নতুন করে যদি কলেজটি চালু করা যেত তাহলে আমাদের নিতান্ত পল্লি এলাকার নিরীহ মানুষের সন্তানেরা পড়ালেখার সুযোগ পেত। কেউ আর ঝরে পড়তো না।

কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আশপাশে কোন কলেজ নেই। যদি বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজটি চালু করা যেত তাহলে আমাদের অনেক দূর দূরান্তে যেতে হতো না। এখান থেকেই আমরা পড়ালেখার সুযোগ পেতাম।

এ বিষয়ে রোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম শামসুদ্দিন মিন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধু কলেজটির জন্য যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন, তা এখানে নেই। তবে কলেজটি চালু হলে আমাদের সাভার, মানিকগঞ্জ বা ঢাকার দিকে যেতে হতো না।

তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বেনজির আহমদ এর সহায়তায় এখানে ‘আব্দুল মান্নান কলেজ’ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে। এতেও গ্রাম এলাকার হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা পাবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

অবহেলায় ১৮ বছর পার

আপডেট টাইম ০৬:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি::ঢাকার ধামরাইয়ে অবজ্ঞা অবহেলায় ১৮ বছর পার করছে উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের রোয়াইল গ্রামে জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু কলেজটি। ভেঙে পড়ছে তার দেয়াল, ছাঁদ। নেই কোন তদারকি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই নেমে আসে কলেজটির ওপর কালো ছায়া। ২০০২ সালে সরকার পরিবর্তন হয়ে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে কলেজ ভবনের দেয়াল, ছাঁদ থেকে তার প্লাস্টার খসে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় কলেজটির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

বর্তমানে কলেজটির এমন বেহাল অবস্থা যে এলাকার লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের শস্য কলেজের ভেতর রেখে দেয়। ভবনটির নেই কোন দরজা জানালা, নেই কোন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারি-কর্মকর্তা। কোন প্রকার তদারকি নেই। বর্তমানে অবজ্ঞাে কারণে কলেজটি আজ বিলুপ্তির পথে। জাতির জনকের স্মরণে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সঠিক উদ্যোগ আর তদারকির কারণে এমন অবস্থা কলেজটি।

একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ধামরাই সদর প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এই এলাকায় অবস্থিত। যদি বঙ্গবন্ধু কলেজটি চালু থাকতো তবে আমাদের ছেলে মেয়েদের এতো দূর দূরান্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হতো না। আবার নতুন করে যদি কলেজটি চালু করা যেত তাহলে আমাদের নিতান্ত পল্লি এলাকার নিরীহ মানুষের সন্তানেরা পড়ালেখার সুযোগ পেত। কেউ আর ঝরে পড়তো না।

কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আশপাশে কোন কলেজ নেই। যদি বঙ্গবন্ধুর নামে কলেজটি চালু করা যেত তাহলে আমাদের অনেক দূর দূরান্তে যেতে হতো না। এখান থেকেই আমরা পড়ালেখার সুযোগ পেতাম।

এ বিষয়ে রোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম শামসুদ্দিন মিন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধু কলেজটির জন্য যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন, তা এখানে নেই। তবে কলেজটি চালু হলে আমাদের সাভার, মানিকগঞ্জ বা ঢাকার দিকে যেতে হতো না।

তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বেনজির আহমদ এর সহায়তায় এখানে ‘আব্দুল মান্নান কলেজ’ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে। এতেও গ্রাম এলাকার হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা পাবে।