প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে একটি গণহত্যা মোকাবেলার পর যখন বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো, দেশটি খুব কমই আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছিলো।
দশকের পর দশক দেশটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের নতুন নতুন চক্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। মোকাবেলা করতে হয়েছে দারিদ্র, সামরিক অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক সংঘাত এবং দূর্নীতি। বহু বছর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ছিলো তলাহীন ঝুড়ি আর উন্নয়নের টেস্টকেস।
কিন্তু এই দেশটিই যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে, তাকে অবহেলা করা নিতান্তই অসম্ভব। দক্ষিণ এশিয়া এখন চীন ও ভারতের প্রভাব প্রতিযোগীতার ভেন্যু। বাংলাদেশ ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। বাংলাদেশের আকর্ষণের মূল জায়গা কয়েক দশকের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতি। এছাড়াও সামাজিক সূচকগুলোতে দেশটি প্রতিবেশিদের যোজন যোজন পেছনে ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশকে প্রায়শই ভারতবেষ্টিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ৩ দিক দিয়ে দেশটি ভারত ঘেরা। মিয়ানমারের সঙ্গেও ছোট সীমানা আছে। তবে বাংলাদেশের আসল শক্তি বঙ্গোপসাগরের বিশাল মুখ। এটি ছোট দেশটিকে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ বানিয়ে তুলছে। পশ্চিমারা একসময় অবহেলা করলেও চীনের সুপারপাওয়ার হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনও বিকল্প নেই। দেশটি তা বোঝে।
বাংলাদেশে বহুদিন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। বহুদিন ছিলো সামরিক শাসন। দুই প্রধান রাজনৈতিক দলে রয়েছে পরিবারতন্ত্রের চর্চা। কিন্তু বাংলাদেশ বদলাচ্ছে। ৫০ বছর আগের শিশু রাষ্ট্রটি, যার কোনও গুরুত্ব ছিলো না, তা আজ পুরো পাল্টে ফেলেছে।