ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীনতাবিরোধী আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে গনতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা- শামসুজ্জামান দুদু মানুষ নতুন নেতৃত্বের জন্য মুখিয়ে আছে- বালিয়াডাঙ্গীর পথসভায়- ফারুক হাসান মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা ‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’ ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল

বিচার চেয়ে হেফাজত নেতার পদত্যাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি::  হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে এতথ্য জানান তিনি।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আব্দুর রহিম কাসেমীর পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন থাকলেও তা স্থগিত করা হয়।

মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামিয়াতে খেদমতে ছিলাম। কিন্তু মতাদর্শগত ভিন্নতার কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১ তারিখে জামিয়ার সব দায়-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকে আমি হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকলেও সব কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। তাই আমি আমার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে একান্তভাবে ব্যস্ত রয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মাদরাসাসমূহের শিক্ষক ও ছাত্রদের এ সমস্ত দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।’

কাসেমী আরও বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি করা এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাতে আমি এবং আমার মাদরাসার কোনো ছাত্র অংশগ্রহণ করেনি। আমি হেফাজতে ইসলামের চলমান কোনো কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত নই। তাদের সব ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমকে শরীয়তসম্মতভাবে অবৈধ মনে করি। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম ও জাতীয় এবং জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতাবিরোধী আর ফ্যাসিবাদের দোসরদের দিয়ে গনতন্ত্র পরিপুষ্ট হবেনা- শামসুজ্জামান দুদু

বিচার চেয়ে হেফাজত নেতার পদত্যাগ

আপডেট টাইম ০৫:২৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি::  হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে এতথ্য জানান তিনি।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আব্দুর রহিম কাসেমীর পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন থাকলেও তা স্থগিত করা হয়।

মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা জামিয়া ইউনুছিয়া ইসলামিয়াতে খেদমতে ছিলাম। কিন্তু মতাদর্শগত ভিন্নতার কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১ তারিখে জামিয়ার সব দায়-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকে আমি হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকলেও সব কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। তাই আমি আমার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে একান্তভাবে ব্যস্ত রয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মাদরাসাসমূহের শিক্ষক ও ছাত্রদের এ সমস্ত দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।’

কাসেমী আরও বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি করা এবং ২৭ ও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জানমালের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাতে আমি এবং আমার মাদরাসার কোনো ছাত্র অংশগ্রহণ করেনি। আমি হেফাজতে ইসলামের চলমান কোনো কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত নই। তাদের সব ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রমকে শরীয়তসম্মতভাবে অবৈধ মনে করি। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম ও জাতীয় এবং জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’