ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবলু’র জমি ও মার্কেট দখলের নেশা

স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও থেকে:: ঠাকুরগাঁওয়ে রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম বাবলু’র বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জমি ও মার্কেট দখলের অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে তার সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী, তাদের দিয়ে তিনি এসব অপকর্ম করার চেষ্টা করেন। তিনি জমি ও মার্কেট দখলের জন্য মসজিদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মার্কেটের গোলাম মোস্তফা, আইনুল, কাজী এমদাদুল হক, আলতাফুর রহমান ও নুর ইসলামের দোকানে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। যদিও ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ গত ০২ তারিখে দোকানগুলির তালা খুলে দোকান মালিকদেরকে বুঝিয়ে দেন। তবে তাদের মধ্যে কাটেনি আতংক। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শিবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক ও ১০নং জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম এমদাদুল হক মুসল্লীগণের পক্ষে রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম (বাবলু), মনজুর আলম, রাজিউল ইসলাম (রাজু), নজরুল ইসলাম ও রমজান আলী’র বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এবং ইউএনও’র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, করেছেন সংবাদ সম্মেলনও। লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রাক্কালে মারোয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়গণ দেশ ত্যাগ করলে ১০নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ উক্ত মারোয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্পিত সম্পত্তির উপর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে ভবন তৈরি হওয়ায় সেখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা অবস্থায় ২০১২ সালে ঠাকুরগাঁও ভুমি অফিস হতে মসজিদের নামে উক্ত জমি লিজ নিয়ে মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা করা অবস্থায় হাবিবুল ইসলাম (বাবলু) ও তার লোকজন মসজিদের জমি ও মার্কেট দখলের চেষ্টা করেন।
ইউএনও এবং থানায় অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে হাবিবুল ইসলাম (বাবলু)’র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন ওটা আমার নলেজে নেই, এ ব্যাপারে আমাদেরকে কোনকিছু জানায়নি, সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারেও আমি জানি না। মার্কেটে তালা লাগার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি, ‘ওটা ঠিক হয়ে গেছে’। আর উনিতো (এস.এম এমদাদুল হক) মসজিদ কমিটিতে নেই। আহ্বায়ক কমিটি এখন মসজিদ পরিচালনা করছে। এর আগে যে কমিটি ছিল তারা ১০/১২ বছর ধরে মসজিদ পরিচালনা করেছে। এখন ৩ মাসের জন্য আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, কমিটিতে আমি নেই। আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। যে জমিটা নিয়ে কথা হয়েছে সেটা আমার সরকার থেকে নেওয়া জমি, জমি নিয়ে কোন সমস্যা নেই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

বাবলু’র জমি ও মার্কেট দখলের নেশা

আপডেট টাইম ০২:১৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও থেকে:: ঠাকুরগাঁওয়ে রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম বাবলু’র বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জমি ও মার্কেট দখলের অভিযোগ উঠেছে। রয়েছে তার সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনী, তাদের দিয়ে তিনি এসব অপকর্ম করার চেষ্টা করেন। তিনি জমি ও মার্কেট দখলের জন্য মসজিদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মার্কেটের গোলাম মোস্তফা, আইনুল, কাজী এমদাদুল হক, আলতাফুর রহমান ও নুর ইসলামের দোকানে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। যদিও ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ গত ০২ তারিখে দোকানগুলির তালা খুলে দোকান মালিকদেরকে বুঝিয়ে দেন। তবে তাদের মধ্যে কাটেনি আতংক। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শিবগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক ও ১০নং জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম এমদাদুল হক মুসল্লীগণের পক্ষে রাজ্জাক গ্রুপের চেয়ারম্যান হাবিবুল ইসলাম (বাবলু), মনজুর আলম, রাজিউল ইসলাম (রাজু), নজরুল ইসলাম ও রমজান আলী’র বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এবং ইউএনও’র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, করেছেন সংবাদ সম্মেলনও। লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রাক্কালে মারোয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়গণ দেশ ত্যাগ করলে ১০নং জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ উক্ত মারোয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্পিত সম্পত্তির উপর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে ভবন তৈরি হওয়ায় সেখানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা অবস্থায় ২০১২ সালে ঠাকুরগাঁও ভুমি অফিস হতে মসজিদের নামে উক্ত জমি লিজ নিয়ে মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা করা অবস্থায় হাবিবুল ইসলাম (বাবলু) ও তার লোকজন মসজিদের জমি ও মার্কেট দখলের চেষ্টা করেন।
ইউএনও এবং থানায় অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে হাবিবুল ইসলাম (বাবলু)’র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন ওটা আমার নলেজে নেই, এ ব্যাপারে আমাদেরকে কোনকিছু জানায়নি, সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারেও আমি জানি না। মার্কেটে তালা লাগার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি, ‘ওটা ঠিক হয়ে গেছে’। আর উনিতো (এস.এম এমদাদুল হক) মসজিদ কমিটিতে নেই। আহ্বায়ক কমিটি এখন মসজিদ পরিচালনা করছে। এর আগে যে কমিটি ছিল তারা ১০/১২ বছর ধরে মসজিদ পরিচালনা করেছে। এখন ৩ মাসের জন্য আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, কমিটিতে আমি নেই। আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। যে জমিটা নিয়ে কথা হয়েছে সেটা আমার সরকার থেকে নেওয়া জমি, জমি নিয়ে কোন সমস্যা নেই।