ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক:: বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস র‌্যাব এবং বাহিনীটির ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(যুক্তরাষ্ট্র সময়) বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির পক্ষে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন নেড প্রাইস।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “সত্যিকার অর্থে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র‌্যাবের সাথে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমরা র‌্যাবের পাশাপাশি এর ৬ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিই। ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দুই প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে ৭০৩১ (সি) আইনের ক্ষমতাবলে চিহ্নিত করেছি।”

বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার- এমনটা জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সেগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই (র‌্যাবের বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা এবং এই ভিসা বিধিনিষেধের লক্ষ্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং (বাহিনীকে) সংস্কারের আওতায় আনা। সর্বোপরি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা। আমরা যেমন এই অভিযুক্তদের দায়বদ্ধ রাখতে চাই, তেমনি আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, ন্যায়বিচার পরিচালনা এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য নিজস্ব ক্ষমতা বিকাশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আমাদের উক্ত নীতিমালারই বহিঃপ্রকাশ।”

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “যারা সমাবেশের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সার্বজনীন অধিকার প্রয়োগ করছেন তাদের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের মন্তব্য অভিন্ন। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলার, সমাবেশ করার এবং নিজেদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করার অধিকার যে কোনো স্থানের জনগণেরই রয়েছে।”

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম ১০:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
ডেস্ক:: বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস র‌্যাব এবং বাহিনীটির ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(যুক্তরাষ্ট্র সময়) বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির পক্ষে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন নেড প্রাইস।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “সত্যিকার অর্থে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র‌্যাবের সাথে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমরা র‌্যাবের পাশাপাশি এর ৬ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিই। ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দুই প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে ৭০৩১ (সি) আইনের ক্ষমতাবলে চিহ্নিত করেছি।”

বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার- এমনটা জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সেগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই (র‌্যাবের বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা এবং এই ভিসা বিধিনিষেধের লক্ষ্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং (বাহিনীকে) সংস্কারের আওতায় আনা। সর্বোপরি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা। আমরা যেমন এই অভিযুক্তদের দায়বদ্ধ রাখতে চাই, তেমনি আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, ন্যায়বিচার পরিচালনা এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য নিজস্ব ক্ষমতা বিকাশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আমাদের উক্ত নীতিমালারই বহিঃপ্রকাশ।”

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “যারা সমাবেশের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সার্বজনীন অধিকার প্রয়োগ করছেন তাদের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের মন্তব্য অভিন্ন। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলার, সমাবেশ করার এবং নিজেদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করার অধিকার যে কোনো স্থানের জনগণেরই রয়েছে।”