ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
১৫ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা জানা গেলো সরকারের ভেতরে সরকার ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ও অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় শহীদ’ ঘোষণার নির্দেশ কেন নয় পীরগঞ্জে হুসেইন মুহাম্মদ এর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সোহাগ কিলিং মিশন রজনী বোস লেনে হত্যা, হাসপাতালের সামনে নিয়ে চলে বর্বরতা ভিডিও সংকটে বাংলাদেশ, ইউনূস কী করবেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ফলাফল স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁয়ের মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত পীরগঞ্জে ১১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিভাগের নারিকেলের চারা বিতরণ

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক:: বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস র‌্যাব এবং বাহিনীটির ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(যুক্তরাষ্ট্র সময়) বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির পক্ষে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন নেড প্রাইস।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “সত্যিকার অর্থে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র‌্যাবের সাথে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমরা র‌্যাবের পাশাপাশি এর ৬ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিই। ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দুই প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে ৭০৩১ (সি) আইনের ক্ষমতাবলে চিহ্নিত করেছি।”

বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার- এমনটা জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সেগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই (র‌্যাবের বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা এবং এই ভিসা বিধিনিষেধের লক্ষ্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং (বাহিনীকে) সংস্কারের আওতায় আনা। সর্বোপরি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা। আমরা যেমন এই অভিযুক্তদের দায়বদ্ধ রাখতে চাই, তেমনি আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, ন্যায়বিচার পরিচালনা এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য নিজস্ব ক্ষমতা বিকাশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আমাদের উক্ত নীতিমালারই বহিঃপ্রকাশ।”

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “যারা সমাবেশের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সার্বজনীন অধিকার প্রয়োগ করছেন তাদের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের মন্তব্য অভিন্ন। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলার, সমাবেশ করার এবং নিজেদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করার অধিকার যে কোনো স্থানের জনগণেরই রয়েছে।”

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

১৫ বছর ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা জানা গেলো

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট টাইম ১০:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
ডেস্ক:: বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস র‌্যাব এবং বাহিনীটির ৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(যুক্তরাষ্ট্র সময়) বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির পক্ষে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন নেড প্রাইস।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “সত্যিকার অর্থে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র‌্যাবের সাথে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিন্ন করি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমরা র‌্যাবের পাশাপাশি এর ৬ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তাকে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দিই। ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দুই প্রাক্তন র‌্যাব কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে ৭০৩১ (সি) আইনের ক্ষমতাবলে চিহ্নিত করেছি।”

বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়া কিংবা বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার- এমনটা জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সেগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে এবং ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই (র‌্যাবের বিরুদ্ধে) নিষেধাজ্ঞা এবং এই ভিসা বিধিনিষেধের লক্ষ্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং (বাহিনীকে) সংস্কারের আওতায় আনা। সর্বোপরি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা। আমরা যেমন এই অভিযুক্তদের দায়বদ্ধ রাখতে চাই, তেমনি আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই, ন্যায়বিচার পরিচালনা এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য নিজস্ব ক্ষমতা বিকাশে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আমাদের উক্ত নীতিমালারই বহিঃপ্রকাশ।”

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভাসমাবেশের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “যারা সমাবেশের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সার্বজনীন অধিকার প্রয়োগ করছেন তাদের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের মন্তব্য অভিন্ন। আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলার, সমাবেশ করার এবং নিজেদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করার অধিকার যে কোনো স্থানের জনগণেরই রয়েছে।”