ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে? দিল্লিতে মুখপাত্রের ব্রিফিং, মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত শান্তির প্রত্যাশা কবে ট্রেন চলবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : রেলের ডিজি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া ওয়েবসাইট উদ্ধার হয়েছে গুলিতে নিহিত আবু সাঈদের জন্য কাদছে পীরগঞ্জের মানুষ নিহত-আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবি’র আন্দালিব রহমান পার্থকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল! জারি থাকছে কার্ফু, ধৃত ১৭৫৮ আগামীতে আইসিটি সেক্টরে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ………….ঠাকুরগাঁওয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পীরগঞ্জে বিদায় সংবর্ধনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেখ সমশের আলী

তদন্ত কমিটির কাছে মামুনকে দায়ী করেছেন এডিসি হারুন-সানজিদা

অনলাইন ::ছাত্রলীগের নেতাদের পেটানোর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হাওয়া এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

ঘটনা তদন্তে ডিএমপির গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি আরও পাঁচ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে। এ আবেদনের পর আরও পাঁচ কর্ম দিবস সময় বাড়ানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে কমিটি এডিসি হারুন-অর-রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা, ঘটনার মূল ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, আরেক আহত ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ অন্তত ১০ জনের বক্তব্য নিয়েছে।

এডিসি সানজিদা আফরিনের স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক খান মামুনকে চিঠি দিয়ে বক্তব্য নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, এডিসি হারুন ও সানজিদা তদন্ত কমিটির কাছে এ ঘটনার মূল দায় দিয়েছেন এপিএস মামুনের ওপর। অন্যদিকে ঘটনার ভুক্তভোগীরা পুলিশের কমিটির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।

কমিটি নাঈম ও মুনিমের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ছাত্রের এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পেয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদেরও বক্তব্য গ্রহণ করবে। অপরাধের মাত্রা নিরূপণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে তারা।

এখন পর্যন্ত যেসব সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে এডিসি হারুন ও পরিদর্শক মোস্তফার সেদিন সবচেয়ে আগ্রাসী ভূমিকায় থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আহত ছাত্রলীগের নেতাদের পক্ষ থেকে হামলায় ১০-১৫ জনের অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও তদন্তে এখন পর্যন্ত ৮-১০ জনের নাম পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য  বলেন, ‘অত্যন্ত নির্মোহভাবে এ ঘটনার তদন্ত চলছে। সেদিন যা ঘটেছিল, তদন্তে তাই উঠে আসবে।’

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন।

ঘটনার পর ডিএমপি সদর দপ্তরে কর্মরত এডিসি সানজিদা অন্তরালে থাকলেও মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন গণমাধ্যমে। তার দাবি, স্বামী মামুনই প্রথম এডিসি হারুনের গায়ে হাত তোলেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশি মিডিয়া কী বলছে?

তদন্ত কমিটির কাছে মামুনকে দায়ী করেছেন এডিসি হারুন-সানজিদা

আপডেট টাইম ০৮:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অনলাইন ::ছাত্রলীগের নেতাদের পেটানোর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হাওয়া এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

ঘটনা তদন্তে ডিএমপির গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি আরও পাঁচ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে। এ আবেদনের পর আরও পাঁচ কর্ম দিবস সময় বাড়ানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে কমিটি এডিসি হারুন-অর-রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা, ঘটনার মূল ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, আরেক আহত ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ অন্তত ১০ জনের বক্তব্য নিয়েছে।

এডিসি সানজিদা আফরিনের স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক খান মামুনকে চিঠি দিয়ে বক্তব্য নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, এডিসি হারুন ও সানজিদা তদন্ত কমিটির কাছে এ ঘটনার মূল দায় দিয়েছেন এপিএস মামুনের ওপর। অন্যদিকে ঘটনার ভুক্তভোগীরা পুলিশের কমিটির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।

কমিটি নাঈম ও মুনিমের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ছাত্রের এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পেয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদেরও বক্তব্য গ্রহণ করবে। অপরাধের মাত্রা নিরূপণ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে তারা।

এখন পর্যন্ত যেসব সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে এডিসি হারুন ও পরিদর্শক মোস্তফার সেদিন সবচেয়ে আগ্রাসী ভূমিকায় থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আহত ছাত্রলীগের নেতাদের পক্ষ থেকে হামলায় ১০-১৫ জনের অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও তদন্তে এখন পর্যন্ত ৮-১০ জনের নাম পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য  বলেন, ‘অত্যন্ত নির্মোহভাবে এ ঘটনার তদন্ত চলছে। সেদিন যা ঘটেছিল, তদন্তে তাই উঠে আসবে।’

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন।

ঘটনার পর ডিএমপি সদর দপ্তরে কর্মরত এডিসি সানজিদা অন্তরালে থাকলেও মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন গণমাধ্যমে। তার দাবি, স্বামী মামুনই প্রথম এডিসি হারুনের গায়ে হাত তোলেন।