ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির ‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে’ ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের ফলাফল প্রকাশ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন গণ-হত্যাকারী, সন্ত্রাশী, দুর্নীতিবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না : মির্জা ফখরুল দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে

ইশতেহার অনুসারে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন: টিআইবি

অপরাধ ও দুর্নীতি::হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ ও নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একইভাবে আইনি সীমার বাইরে জমি থাকলে তা ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।

এতে দেখা যাচ্ছে দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ২০১৮ সালের তুলনায় সর্বশেষ ২০২৪ সালে বৃদ্ধির হারও ৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আবার বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন এমন ১১২ জন সংসদ-সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫২ শতাংশ সংসদ-সদস্য। নতুন এমপিদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী। গত চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ। নবম জাতীয় সংসদে ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দশম জাতীয় সংসদে ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে ৬১ শতাংশ সংসদ-সদস্যই ছিলেন ব্যবসায়ী। অন্যদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম সংসদে ব্যবসায়ীর হার ছিল ১৮ শতাংশ।

আবার ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ অনুসারে একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানা সীমা সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা। এর মধ্যে কৃষি জমি ৬০ বিঘা এবং অকৃষি জমি ৪০ বিঘা বেঁধে দেওয়া আছে। সীমার বাইরে ১৩ জন এমপির জমি আছে। সম্মিলিতভাবে এই ১৩ জন সংসদ-সদস্যের আইনি সীমার বাইরে বাড়তি জমি রয়েছে ৮০০ একর বা ২ হাজার ৪শ বিঘা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক, হলফনামায় তার জমির পরিমাণ ৩৮০ দশমিক ৭৫ একর।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ২০২৪ নির্বাচনি ইশতেহারে অবৈধ আয় ও সম্পদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুনির্দিষ্টভাবে অঙ্গীকার রয়েছে। এ অঙ্গীকার অনুসারে এমপিদের সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে, আইনের বাইরে বাড়তি ৮০০ একরের বেশি জমি সংসদ-সদস্যদের অনেকের মালিকানাধীন রয়েছে। এ জমি বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের আহ্বান জানাই।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল

ইশতেহার অনুসারে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন: টিআইবি

আপডেট টাইম ০২:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

অপরাধ ও দুর্নীতি::হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ ও নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একইভাবে আইনি সীমার বাইরে জমি থাকলে তা ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।

এতে দেখা যাচ্ছে দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ২০১৮ সালের তুলনায় সর্বশেষ ২০২৪ সালে বৃদ্ধির হারও ৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আবার বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন এমন ১১২ জন সংসদ-সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫২ শতাংশ সংসদ-সদস্য। নতুন এমপিদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী। গত চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ। নবম জাতীয় সংসদে ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দশম জাতীয় সংসদে ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে ৬১ শতাংশ সংসদ-সদস্যই ছিলেন ব্যবসায়ী। অন্যদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম সংসদে ব্যবসায়ীর হার ছিল ১৮ শতাংশ।

আবার ভূমি সংস্কার আইন ২০২৩ অনুসারে একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানা সীমা সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা। এর মধ্যে কৃষি জমি ৬০ বিঘা এবং অকৃষি জমি ৪০ বিঘা বেঁধে দেওয়া আছে। সীমার বাইরে ১৩ জন এমপির জমি আছে। সম্মিলিতভাবে এই ১৩ জন সংসদ-সদস্যের আইনি সীমার বাইরে বাড়তি জমি রয়েছে ৮০০ একর বা ২ হাজার ৪শ বিঘা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক, হলফনামায় তার জমির পরিমাণ ৩৮০ দশমিক ৭৫ একর।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ২০২৪ নির্বাচনি ইশতেহারে অবৈধ আয় ও সম্পদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুনির্দিষ্টভাবে অঙ্গীকার রয়েছে। এ অঙ্গীকার অনুসারে এমপিদের সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে, আইনের বাইরে বাড়তি ৮০০ একরের বেশি জমি সংসদ-সদস্যদের অনেকের মালিকানাধীন রয়েছে। এ জমি বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের আহ্বান জানাই।