ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আ’লীগ/ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহত ৩০ উভয় পক্ষের

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::জেলার পীরগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ন মিছিলে হামলা ও মারপিটের জের ধরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, ৩ ইউপি চেয়ারম্যান,উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।ভাংচুর করা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চেম্বার ও বাসভবন।
জানা যায়, দেশব্যাপি ছাত্র আন্দালনের অংশ হিসেবে ৪ আগষ্ট রবিবার  সকাল ১১ টার দিকে পীরগঞ্জ সরকারী কলেজ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের পূর্ব চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি উপজেলা পোষ্ট অফিস অতিক্রম করা কালে ছাত্রলীগ, আ’লীগ ও যুবলীগের নেতারা মিছিলে বাধা দেয় এবং ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুব লীগের সদস্যরা। হামলায় আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ২০/২৫ জন আহত হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে আন্দোলনকারীরা পূনরায় বিপুল জমায়েত করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এ সময় আওয়ামীলীগের সভাস্থলে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। বিক্ষুব্ধরা বেপরোয়া হলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা থানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থল পূর্ব চৌরাস্তা মোড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আখতারুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা যথাক্রমে সাবেক মেয়র কশিরুল আলম, সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, ইউপি চেয়ারম্যন মো: জয়নাল আবেদীন(৭নং হাজীপুর ইউপি), মো: জিয়াউর রহমান জিয়া(১০ নং জাবরহাট ইউপি), মো: হিটলার হক(০১ নং ভোমরাদহ ইউপি) মারপিটের শিকার হয়ে আহত হন। আহতদের পীরগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা শহরে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় উপজেলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম মোল্লার পশ্চিম চৌরাস্তার মিতালী রেষ্টুর্ন্টে, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরশাদ হোসেন বাবু’র প্রিয়াঙ্কা রেস্তোরা, যুবলীগার রুবেল এর সমবায় মার্কেটের ছাদে করা চায়নিজ রেস্টুরেন্ট নিরিবিলি, ছাত্রলীগার জনি ও তার বন্ধুদের যৌথ প্রতিষ্ঠান রেল ষ্টেশন রোডের হাই স্কুলের সম্পত্তিতে করা চায়নিজ রেস্টুরেন্ট গুড্ডি’ ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এছাড়া সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লবের অফিস চেম্বারে হামরা চালিয়ে অফিসের আসবাবপত্র, অফিসের গ্যারেজে থাকা একটি প্রাইভেট কার, এবং ৩ টি মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করা হয়। সহকারী প্রচার সম্পাদক প্রভাষক সবুর আলমের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। সাবেক মেয়র কশিরুল আলমের বাসভবনে হামলা চালিয়ে বাসার নীচ তলার সবকটি কক্ষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর ও লন্ডভন্ড করা হয়। আগুন দেয়া হয় উপজেলা কৃষকলীগ সম্পাদক আরেফিন এর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলে। আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিয়ে তাদের সাথে ছিলেন যুবদল পৌর সম্পাদক আতিকুজ্জামান ও তার সহযোগী জাহিদ এমপি’র পিএস সোহাগ, আরিফুজ্জামান আরিফ, জনি, বাপ্পি, জুয়েল, মহব্বত, রাসেল, বাবু, সুইট,  ছুটু ,ছোটকা, সহ ১০/১২ জনের টিম। আশেপাশেই ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ, রেজওয়ানুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন তার সাথে ছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের খাবার পানি, বিস্কুট, কেক সরবরাহ করেন। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপি তান্ডবে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরে আ’লীগের সভা স্থল দখলে নিয়ে চলে আন্দোলন কারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ। ্উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক  জিয়াউল ইসলাম জিয়া সহ ও অন্যান্য নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। সন্ধা ৭ টায় এ রিপোট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সমগ্র শহর তাদের নিয়ন্ত্রনে রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় আ’লীগের বিপক্ষে এতবড় প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ এটাই প্রথম। আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা শহর ছেরে নিারপদ দুরত্বে অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আ’লীগ/ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহত ৩০ উভয় পক্ষের

আপডেট টাইম ০৬:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::জেলার পীরগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ন মিছিলে হামলা ও মারপিটের জের ধরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, ৩ ইউপি চেয়ারম্যান,উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।ভাংচুর করা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চেম্বার ও বাসভবন।
জানা যায়, দেশব্যাপি ছাত্র আন্দালনের অংশ হিসেবে ৪ আগষ্ট রবিবার  সকাল ১১ টার দিকে পীরগঞ্জ সরকারী কলেজ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের পূর্ব চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি উপজেলা পোষ্ট অফিস অতিক্রম করা কালে ছাত্রলীগ, আ’লীগ ও যুবলীগের নেতারা মিছিলে বাধা দেয় এবং ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুব লীগের সদস্যরা। হামলায় আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ২০/২৫ জন আহত হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে আন্দোলনকারীরা পূনরায় বিপুল জমায়েত করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এ সময় আওয়ামীলীগের সভাস্থলে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। বিক্ষুব্ধরা বেপরোয়া হলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা থানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থল পূর্ব চৌরাস্তা মোড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আখতারুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা যথাক্রমে সাবেক মেয়র কশিরুল আলম, সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, ইউপি চেয়ারম্যন মো: জয়নাল আবেদীন(৭নং হাজীপুর ইউপি), মো: জিয়াউর রহমান জিয়া(১০ নং জাবরহাট ইউপি), মো: হিটলার হক(০১ নং ভোমরাদহ ইউপি) মারপিটের শিকার হয়ে আহত হন। আহতদের পীরগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা শহরে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় উপজেলা আ’লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম মোল্লার পশ্চিম চৌরাস্তার মিতালী রেষ্টুর্ন্টে, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরশাদ হোসেন বাবু’র প্রিয়াঙ্কা রেস্তোরা, যুবলীগার রুবেল এর সমবায় মার্কেটের ছাদে করা চায়নিজ রেস্টুরেন্ট নিরিবিলি, ছাত্রলীগার জনি ও তার বন্ধুদের যৌথ প্রতিষ্ঠান রেল ষ্টেশন রোডের হাই স্কুলের সম্পত্তিতে করা চায়নিজ রেস্টুরেন্ট গুড্ডি’ ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এছাড়া সাধারন সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লবের অফিস চেম্বারে হামরা চালিয়ে অফিসের আসবাবপত্র, অফিসের গ্যারেজে থাকা একটি প্রাইভেট কার, এবং ৩ টি মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করা হয়। সহকারী প্রচার সম্পাদক প্রভাষক সবুর আলমের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। সাবেক মেয়র কশিরুল আলমের বাসভবনে হামলা চালিয়ে বাসার নীচ তলার সবকটি কক্ষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর ও লন্ডভন্ড করা হয়। আগুন দেয়া হয় উপজেলা কৃষকলীগ সম্পাদক আরেফিন এর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলে। আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিয়ে তাদের সাথে ছিলেন যুবদল পৌর সম্পাদক আতিকুজ্জামান ও তার সহযোগী জাহিদ এমপি’র পিএস সোহাগ, আরিফুজ্জামান আরিফ, জনি, বাপ্পি, জুয়েল, মহব্বত, রাসেল, বাবু, সুইট,  ছুটু ,ছোটকা, সহ ১০/১২ জনের টিম। আশেপাশেই ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ, রেজওয়ানুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন তার সাথে ছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের খাবার পানি, বিস্কুট, কেক সরবরাহ করেন। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপি তান্ডবে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরে আ’লীগের সভা স্থল দখলে নিয়ে চলে আন্দোলন কারীদের প্রতিবাদ সমাবেশ। ্উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক  জিয়াউল ইসলাম জিয়া সহ ও অন্যান্য নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। সন্ধা ৭ টায় এ রিপোট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সমগ্র শহর তাদের নিয়ন্ত্রনে রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় আ’লীগের বিপক্ষে এতবড় প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ এটাই প্রথম। আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা শহর ছেরে নিারপদ দুরত্বে অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছে।