মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার নতুন করে যুক্ত হলো ইয়েমেন। ইরানের মিসাইল ও ড্রোন হামলার ঠিক পরপরই ইয়েমেন থেকেও ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘টাইমস অব ইসরায়েল’। রোববার (১৫ জুন) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক মিনিট পরই ইয়েমেন থেকেও হামলা হয়। এই হামলার সময় ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব এবং আশেপাশের এলাকায় আবারও সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। যদিও ইয়েমেনের কোন সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে—ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীই এর পেছনে রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কিছু সময় পরই ইয়েমেন থেকেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, লাখ লাখ ইসরায়েলি যখন ইরানি হামলার পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছিলেন, তখনই নতুন করে সাইরেন বাজতে শুরু করে ইয়েমেন দিক থেকে আসা হামলার জন্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলাটি ইসরায়েলের কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে কি না, কিংবা দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেটি প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি। তবে বারবার সাইরেন বেজে ওঠা এবং জনগণের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া—এই দুটোই ইসরায়েলে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দাবি, ইরানের সমর্থনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পরিসর আরও বিস্তৃত করেছে। হুতি গোষ্ঠী এর আগেও সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, এবার তারা সরাসরি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালাল বলে ধারণা করা হচ্ছে।মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইয়েমেনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা যুদ্ধকে আরও আঞ্চলিক ও বিস্ফোরক করে তুলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের বহুপাক্ষিক জড়িত থাকলে সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল।