সারাদিন ডেস্ক:: দিনেশ কার্তিক আর মুরালি বিজয়ের মধ্যে একসময় দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু কার্তিকের প্রথম স্ত্রী নিকিতা ভাঞ্জারার কারণে সেই সম্পর্ক এখন তিক্ততায় রূপ নিয়েছে। সেটাই হওয়ার কথা, নিজের স্ত্রী যদি বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে কেই-বা মেনে নিতে পারবেন? কার্তিকও পারেননি। নিকিতা বিজয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন কার্তিকের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক রেখেই। পরে বিবাহবিচ্ছেদের পর বিজয়কে বিয়ে করেন নিকিতা।
কার্তিকও নতুন জীবন শুরু করেছেন। বিয়ে করেছেন সাবেক স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকালকে। সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। সুখে আছেন নিকিতা-বিজয়ও। যে যাঁর মতো করে নিজেদের জীবনটা সাজিয়েছেন। পুরোনো তিক্ততা ভুলেছেন নতুনকে সঙ্গী করে। নিজেদের তিক্ততা কার্তিক-বিজয়ের কেউই প্রকাশ্যে না এলেও মাঝেমধ্যে তা বেরিয়ে পড়ে নানাভাবে। এই যেমন সেদিন নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পর নতুন করে প্রকাশ্যে আসে বিজয়-কার্তিক তিক্ততা।
ফাইনালে রীতিমতো অতিমানবীয় ব্যাটিং করেই ভারতকে জিতিয়েছেন কার্তিক। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ত্রাণকর্তা না হয়ে এলে সেদিন হেরেই যেতে হতো ভারতকে। কিন্তু ম্যাচ শেষে টুইটারে আর সবার মতো ভারতীয় দলকে অভিনন্দিত করতে গিয়েই গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন ভারতীয় টেস্ট দলের ওপেনার বিজয়। তিনি সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, কিন্তু যে খেলোয়াড়টি জয়ের মুখ্য ভূমিকা নিলেন, বাদ দিয়ে গেলেন তাঁর নামই। বিজয়ের সেই টুইট রীতিমতো হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এটি নিয়ে ট্রলও চলছে। সবারই কথা, এই অভিনন্দনবার্তার কী মূল্য, যেখানে সত্যিকারের বীরের নাম উল্লেখ নেই। কেউ কেউ আবার বলছেন, এক দিনের জন্য হলেও তো বিজয় নিজের ‘ইগো’কে দূরে রাখতে পারতেন!
বিজয় বোধ হয় ভাবছেন, কেন যে টুইটটা করতে গেলাম!