ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় নিজেদের বিজয়ী জাতি হিসেবে চিন্তা করে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে চলবে

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: শিশু-কিশোরদের দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ নিয়ে বেড়ে উঠে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় নিজেদের বিজয়ী জাতি হিসেবে চিন্তা করে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে চলবে। তোমরাই এ দেশকে গড়ে তুলবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসবে। আগামী দিনে এই দেশকে তোমরা গড়ে তুলবে। আমরা যেখানে রেখে যাব, সেখান থেকে তোমরাই দেশকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি শিশু-কিশোরদের শিক্ষকদের কথা মেনে চলারও আহ্বান জানান।

সরকার শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকের শিশু তোমরা, যারা এখানে উপস্থিত, যারা সারা দেশে রয়েছে—সবাইকে আমি এটাই বলব, আজকের শিশুই তো আগামীর দিনের ভবিষ্যৎ।’

শিশুরা ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মীসহ অনেক কিছুই হতে পারবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

আজকের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ যাতে সুন্দর হয়, উজ্জ্বল হয়, সেই কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারও অন্যতম লক্ষ্য ছিল।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য এই বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে নিয়ে আসা। ইতিমধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথানত করে নয়, আমরা মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলব। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব, তখন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। ২০২০ সালে আমরা আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। আর সেই দেশ আমরা ইনশা আল্লাহ গড়ে তুলব।’

সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় গ্যালারিতে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।

মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে সারা দেশের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত গাওয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-অর্জন নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শিশু-কিশোর সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এরপরই সমবেত কণ্ঠে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় নিজেদের বিজয়ী জাতি হিসেবে চিন্তা করে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে চলবে

আপডেট টাইম ০৩:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: শিশু-কিশোরদের দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ নিয়ে বেড়ে উঠে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় নিজেদের বিজয়ী জাতি হিসেবে চিন্তা করে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে চলবে। তোমরাই এ দেশকে গড়ে তুলবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসবে। আগামী দিনে এই দেশকে তোমরা গড়ে তুলবে। আমরা যেখানে রেখে যাব, সেখান থেকে তোমরাই দেশকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি শিশু-কিশোরদের শিক্ষকদের কথা মেনে চলারও আহ্বান জানান।

সরকার শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকের শিশু তোমরা, যারা এখানে উপস্থিত, যারা সারা দেশে রয়েছে—সবাইকে আমি এটাই বলব, আজকের শিশুই তো আগামীর দিনের ভবিষ্যৎ।’

শিশুরা ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মীসহ অনেক কিছুই হতে পারবে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

আজকের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ যাতে সুন্দর হয়, উজ্জ্বল হয়, সেই কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারও অন্যতম লক্ষ্য ছিল।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য এই বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে নিয়ে আসা। ইতিমধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথানত করে নয়, আমরা মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলব। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব, তখন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। ২০২০ সালে আমরা আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করব। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। আর সেই দেশ আমরা ইনশা আল্লাহ গড়ে তুলব।’

সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় গ্যালারিতে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।

মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে সারা দেশের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত গাওয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-অর্জন নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শিশু-কিশোর সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এরপরই সমবেত কণ্ঠে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।