ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

বাংলাদেশের জুনিয়র মেয়েরা বুঝিয়ে দিল আগে পারা গেলেও ভবিষ্যতে আর নয়।

মোসলিমা খাতুন,সারাদিন ডেস্ক:: ছুটির দিন সকালবেলাই হংকং থেকে খুশির খবর পাঠাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দল। চার জাতি জকি ক্লাব মহিলা ফুটবলের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১০-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে এর চেয়ে ভালো শুরু আর কীই-বা হতে পারত! বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেছে তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার ও আনাই মগিনি। একটি করে গোল করেছে সাজেদা খাতুন, আনুচিং মগিনি, নিলুফা ইয়াসমিন ও শামসুন্নাহার (জুনিয়র)।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান ৮০। আর বাংলাদেশ ১০২। অর্থাৎ ২২ ধাপ পেছনে থেকে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলার মেয়েরা। কিন্তু শামসুন্নাহার, আনুচিংদের সামনে র‍্যাঙ্কিং তো শুধু একটা অঙ্কের হিসাব ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ ফুটবলে ভারতকে হারিয়ে এই মেয়েরাই হয়েছিল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।

প্রথমার্ধেই মালয়েশিয়ার জালে ছয়বার বল পাঠিয়ে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা বুঝিয়ে দিয়েছে আজ গোলের মেলা বসতে যাচ্ছে। সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে চার গোলকে মনে হয়েছে সামান্য। ১৩ মিনিটে গোলের খাতা খুলেছে ডিফেন্ডার সাজেদা। এরপর দলের স্ট্রাইকার তহুরার দুই মিনিটের ঝলক। ১৮ ও ২০ মিনিটে জোড়া গোল করে কলসিন্দুরের এই মেয়ে। ২২ মিনিটে জয়ের ব্যবধান ৪-০ করে শামসুন্নাহার।

গোল এক হালি হওয়ার পর মেয়েরা কোথায় একটু জিরিয়ে নেবে তা না, ২৪ মিনিটে ব্যবধান ৫-০ করে আনাই। এরপর ম্যাচের আর কী বাকি থাকে? বাকি যা ছিল সেটা বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের নেশা। বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৮ মিনিটে আরও এক গোল করে শামসুন্নাহার (জুনিয়র)। এই হলো প্রথমার্ধের ছয় গোলের খেরোখাতা।

দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল দিলেও হজম করতে হয়েছে এক গোল। ৫৩ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি হজম করে বাংলাদেশ। মেয়েদের এই বাংলাদেশ গোল হজম করে, খবরটা শোনা যায়নি অনেক দিন। কেননা কয়েক মাস আগে অনূর্ধ্ব ১৫ সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে চার ম্যাচে এক গোলও হজম করেনি তারা। গোল হজমের পরের মিনিটেই নিজের জোড়া গোলে ৮-১ করেছে শামসুন্নাহার। ব্যক্তিগত জোড়া গোলে ৯-১ করতে আনাইয়ের সময় লেগেছে আরও ১৩ মিনিট। ৭০তম মিনিটে শেষ গোলটি করেছে নিলুফা ইয়াসমিন।

এর আগে মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশের সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল মালয়েশিয়ার, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে। সে আসরে মালয়েশিয়া সিনিয়র দল ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের জুনিয়র মেয়েরা বুঝিয়ে দিল আগে পারা গেলেও ভবিষ্যতে আর নয়।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

বাংলাদেশের জুনিয়র মেয়েরা বুঝিয়ে দিল আগে পারা গেলেও ভবিষ্যতে আর নয়।

আপডেট টাইম ০৮:১৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮

মোসলিমা খাতুন,সারাদিন ডেস্ক:: ছুটির দিন সকালবেলাই হংকং থেকে খুশির খবর পাঠাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দল। চার জাতি জকি ক্লাব মহিলা ফুটবলের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১০-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে এর চেয়ে ভালো শুরু আর কীই-বা হতে পারত! বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেছে তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার ও আনাই মগিনি। একটি করে গোল করেছে সাজেদা খাতুন, আনুচিং মগিনি, নিলুফা ইয়াসমিন ও শামসুন্নাহার (জুনিয়র)।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান ৮০। আর বাংলাদেশ ১০২। অর্থাৎ ২২ ধাপ পেছনে থেকে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলার মেয়েরা। কিন্তু শামসুন্নাহার, আনুচিংদের সামনে র‍্যাঙ্কিং তো শুধু একটা অঙ্কের হিসাব ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ ফুটবলে ভারতকে হারিয়ে এই মেয়েরাই হয়েছিল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।

প্রথমার্ধেই মালয়েশিয়ার জালে ছয়বার বল পাঠিয়ে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা বুঝিয়ে দিয়েছে আজ গোলের মেলা বসতে যাচ্ছে। সে তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে চার গোলকে মনে হয়েছে সামান্য। ১৩ মিনিটে গোলের খাতা খুলেছে ডিফেন্ডার সাজেদা। এরপর দলের স্ট্রাইকার তহুরার দুই মিনিটের ঝলক। ১৮ ও ২০ মিনিটে জোড়া গোল করে কলসিন্দুরের এই মেয়ে। ২২ মিনিটে জয়ের ব্যবধান ৪-০ করে শামসুন্নাহার।

গোল এক হালি হওয়ার পর মেয়েরা কোথায় একটু জিরিয়ে নেবে তা না, ২৪ মিনিটে ব্যবধান ৫-০ করে আনাই। এরপর ম্যাচের আর কী বাকি থাকে? বাকি যা ছিল সেটা বাংলাদেশের মেয়েদের গোলের নেশা। বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৮ মিনিটে আরও এক গোল করে শামসুন্নাহার (জুনিয়র)। এই হলো প্রথমার্ধের ছয় গোলের খেরোখাতা।

দ্বিতীয়ার্ধে চার গোল দিলেও হজম করতে হয়েছে এক গোল। ৫৩ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি হজম করে বাংলাদেশ। মেয়েদের এই বাংলাদেশ গোল হজম করে, খবরটা শোনা যায়নি অনেক দিন। কেননা কয়েক মাস আগে অনূর্ধ্ব ১৫ সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে চার ম্যাচে এক গোলও হজম করেনি তারা। গোল হজমের পরের মিনিটেই নিজের জোড়া গোলে ৮-১ করেছে শামসুন্নাহার। ব্যক্তিগত জোড়া গোলে ৯-১ করতে আনাইয়ের সময় লেগেছে আরও ১৩ মিনিট। ৭০তম মিনিটে শেষ গোলটি করেছে নিলুফা ইয়াসমিন।

এর আগে মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশের সঙ্গে একবারই দেখা হয়েছিল মালয়েশিয়ার, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে। সে আসরে মালয়েশিয়া সিনিয়র দল ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের জুনিয়র মেয়েরা বুঝিয়ে দিল আগে পারা গেলেও ভবিষ্যতে আর নয়।