সারাদিন ডেস্ক::গর্ভে প্রেমিকের চার মাসের যমজ সন্তান নিয়ে অন্যত্রে বিয়ে হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর স্বামী সংসার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন এক তরুণী। এখন ওই তরুণী গত বুধবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি তুলেছেন।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ওই তরুণী জানান, একই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মজনুর (২৫) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে মজনু তাকে বিয়ে করবে বলে দৈহিক মেলামেশাও করেছে। এতে তার গর্ভে মজনুর সন্তান চলে আসে।
গর্ভের সন্তানের বয়স যখন চার মাস তখন তরুণীর মা-বাবা তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের বীর সিধলী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে বিল্লাল হোসেনের (৩০) সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের ছয় মাস পর যমজ সন্তান প্রসব করলে তাকে তার স্বামীও এখন মেনে নিচ্ছেন না।
এই তরুণী তার স্বামী সংসারে না থেকে প্রেমিক মজনুর বাড়িতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে অবস্থান করছেন। মজনুর কাছে তার সন্তানদের পিতৃত্বের স্বীকৃতি ও নিজেকে স্ত্রীর অধিকার দেয়ার দাবি তুলেছেন।
এদিকে প্রেমিক মজনু তাকে মেনে না নিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছেন। মজনু তার স্বজনদের মাধ্যমে জানাচ্ছেন, ওই তরুণীর সাথে তার কখনো দৈহিক মেলামেশাতো দূরের কথা তাদের আদৌ কোনো সম্পর্কই ছিল না।
এদিকে মেয়ে এবং তার সন্তানকে মেনে না নেয়ায় তরুণীর বাবা মজনুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এবিষয়ে মজনুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মজনুর বোন মিতু আক্তার বলেন, ‘ওই তরুণী যে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, ওই সন্তানদের বাবা আমার ভাই মজনু না।’
কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে, ওই সন্তান দু’টির পিতৃত্বের ব্যাপারে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া কিছুই বলা যাবে না।