ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জের ভেমটিয়া-গুয়াগাও সর. প্রাই. স্কুলের হেডটিচারের স্কুল ফাকি-শিক্ষার মান নিম্নমূখী

সারাদিন ডেস্ক::জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেমটিয়া-গুয়াগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেড টিচারের স্কুল ফাকি’র কারনে এই স্কুলের শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমূখী হচ্ছে এবং উপস্থিতিও মারাত্নকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
জানা যায় উপজেলার ভেমটিয়া-গুয়াগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা বেগম স্কুল শুরুর দিকে আধাঘন্টা/ ১ ঘন্টা উপস্থিত থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিস বা ইউএনও অফিসে কাজের কথা বলে প্রায় প্রতিদিনই বের হয়ে যান কিন্তু আর ফিরে আসেননা। অথচ উপজেলা অফিসের দুরত্ব এই বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৩ কি.মি.। এই বিদ্যালয়ে একাধিকবার গিয়ে হেডটিচারের চেয়ার খালি পাওয়া যায়। তবে সেখানে একজন বহিরাগত ব্যাক্তিকে বসে থাকতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, এই বহিরাগত ব্যাক্তিটি হেডটিচারের নিকটাত্বীয়। স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও বেশ কম পাওয়া যায়। ১৭ সেপ্টেম্বর সব ক্লাস মিলে উপস্থিতি দেখা যায় ৮০ জন। এই টিচারের ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি এলাকাবাসী। স্থানীয়ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্কুল ফাকি দিয়ে শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছেন। সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদ হোসেন এই বিদ্যালয়টির তদারকির দায়িত্বে থাকলেও প্রধান শিক্ষকের স্কুল ফাকি বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামের কাছে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি বিধিগত ব্যবস্থা শিগগীরই গ্রহন করবেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জের ভেমটিয়া-গুয়াগাও সর. প্রাই. স্কুলের হেডটিচারের স্কুল ফাকি-শিক্ষার মান নিম্নমূখী

আপডেট টাইম ০৪:৫০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেমটিয়া-গুয়াগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেড টিচারের স্কুল ফাকি’র কারনে এই স্কুলের শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমূখী হচ্ছে এবং উপস্থিতিও মারাত্নকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
জানা যায় উপজেলার ভেমটিয়া-গুয়াগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা বেগম স্কুল শুরুর দিকে আধাঘন্টা/ ১ ঘন্টা উপস্থিত থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিস বা ইউএনও অফিসে কাজের কথা বলে প্রায় প্রতিদিনই বের হয়ে যান কিন্তু আর ফিরে আসেননা। অথচ উপজেলা অফিসের দুরত্ব এই বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৩ কি.মি.। এই বিদ্যালয়ে একাধিকবার গিয়ে হেডটিচারের চেয়ার খালি পাওয়া যায়। তবে সেখানে একজন বহিরাগত ব্যাক্তিকে বসে থাকতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, এই বহিরাগত ব্যাক্তিটি হেডটিচারের নিকটাত্বীয়। স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতিও বেশ কম পাওয়া যায়। ১৭ সেপ্টেম্বর সব ক্লাস মিলে উপস্থিতি দেখা যায় ৮০ জন। এই টিচারের ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি এলাকাবাসী। স্থানীয়ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্কুল ফাকি দিয়ে শিশুদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছেন। সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহিদ হোসেন এই বিদ্যালয়টির তদারকির দায়িত্বে থাকলেও প্রধান শিক্ষকের স্কুল ফাকি বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলামের কাছে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি বিধিগত ব্যবস্থা শিগগীরই গ্রহন করবেন।