ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির বিআরটিএ বন্ধের চিন্তা করা হবে: সড়ক উপদেষ্টা ‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’ ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: প্রেস সচিব জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল খালেদার চিকিৎসায় সুবিধা দেওয়ায় কাতার ও যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ দিল বিএনপি চলচ্চিত্র তারকা প্রবীর মিত্রের শেষ বিদায়, ইসলামী রীতিতে দাফন

একজনও পাস করেনি ১০৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী। এবারের এসএসসি ও সমমাসের পরীক্ষায় এবার ১০৭ প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। তবে শতভাগ পাস করেছে ২ হাজার ৫৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

সোমবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।প্রথা অনুযায়ী, ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে সাধারণত শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করতেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে থাকায় সেই রেওয়াজের ব্যত্যয় হলো।

ফল প্রকাশ উপলক্ষে লন্ডন থেকে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন ছাত্রী।

তিনি বলেন, ‘আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ।গত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসিতে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে ২৯ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন।গত বছর আট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। পাসের হার মাদরাসা বোর্ডে ৭০ দশমিক ৮৯ ও কারিগরি বোর্ডে ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল।

বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।এবার এসএসসিতে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়, শেষ ৫ মার্চ।মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৬ মার্চ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি

একজনও পাস করেনি ১০৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

আপডেট টাইম ০১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী। এবারের এসএসসি ও সমমাসের পরীক্ষায় এবার ১০৭ প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে। তবে শতভাগ পাস করেছে ২ হাজার ৫৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

সোমবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

এর আগে বোর্ড চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।প্রথা অনুযায়ী, ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে সাধারণত শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করতেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে থাকায় সেই রেওয়াজের ব্যত্যয় হলো।

ফল প্রকাশ উপলক্ষে লন্ডন থেকে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪১ জন ছাত্র ও ৮ লাখ ৮২ হাজার ২২৪ জন ছাত্রী।

তিনি বলেন, ‘আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ।গত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসিতে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে ২৯ হাজার ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন।গত বছর আট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। পাসের হার মাদরাসা বোর্ডে ৭০ দশমিক ৮৯ ও কারিগরি বোর্ডে ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল।

বিদেশ কেন্দ্রে পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ।এবার এসএসসিতে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়, শেষ ৫ মার্চ।মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৬ মার্চ।