ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

সোমবার শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

‘নুর হোসেনের আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারিনা’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে সকল বাধা দুর করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মালিকানা জনগণের কাছে বিকিয়ে দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনশাসন কায়েম করতে হবে। নুর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে জাতির ওপর চেপে বসা চরম দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।’

নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নুর হোসেন। সেদিন তার আত্মত্যাগ এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিলো।’

ফখরুল বলেন, ‘নুর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিলো নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজও গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক::দেশের স্বাধীনতা আজকে বিপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সভায় শুরুর আগে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার প্রকাশনায় ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর; সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজন্ম’ ই-বুকের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দেশের স্বাধীনতা আজকে বিপন্ন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অধিকার নেই বললেই চলে। আজকে ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। তাদের (ক্ষমতাসীন) লক্ষ্য শহীদ জিয়াকে। তারা ভেবেছিলো যে, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করবার পরে এই জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ, বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্বে যে পরিচিতি সেই পরিচিতি ধবংস করে দিয়ে তারা তাদের মতো করে আবার সেই ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত যে শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং তারা চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আজকে সমৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে- এটা শুধু মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজকে সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায়। শুধু তাই নয়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে গেছে এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলা হয়েছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে।

ফখরুল বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরে পাবার লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বিএনপি সুসংগঠিত হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হবো এবং দলমত নির্বিশেষ সকলকে এক করে একটা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা এই অপশক্তিকে পরাজিত করে একটা নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করে আমরা আবার জনগনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো, জনগণের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম হচ্ছে

আপডেট টাইম ০২:২৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:: নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

সোমবার শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

‘নুর হোসেনের আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারিনা’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে সকল বাধা দুর করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মালিকানা জনগণের কাছে বিকিয়ে দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনশাসন কায়েম করতে হবে। নুর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে জাতির ওপর চেপে বসা চরম দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।’

নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নুর হোসেন। সেদিন তার আত্মত্যাগ এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিলো।’

ফখরুল বলেন, ‘নুর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিলো নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজও গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক::দেশের স্বাধীনতা আজকে বিপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সভায় শুরুর আগে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার প্রকাশনায় ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর; সিপাহী-জনতার বিপ্লব ও বাংলাদেশের নবজন্ম’ ই-বুকের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দেশের স্বাধীনতা আজকে বিপন্ন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অধিকার নেই বললেই চলে। আজকে ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। তাদের (ক্ষমতাসীন) লক্ষ্য শহীদ জিয়াকে। তারা ভেবেছিলো যে, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করবার পরে এই জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ, বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্বে যে পরিচিতি সেই পরিচিতি ধবংস করে দিয়ে তারা তাদের মতো করে আবার সেই ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত যে শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং তারা চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আজকে সমৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে- এটা শুধু মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজকে সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায়। শুধু তাই নয়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে গেছে এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলা হয়েছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে।

ফখরুল বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং গণতন্ত্র ফিরে পাবার লক্ষ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বিএনপি সুসংগঠিত হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হবো এবং দলমত নির্বিশেষ সকলকে এক করে একটা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা এই অপশক্তিকে পরাজিত করে একটা নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন করে আমরা আবার জনগনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো, জনগণের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।