ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ জনের মৃত্যু : সেই পরিবার পেল ২০ হাজার টাকা

সারাদিন ডেস্ক:: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মরিচপাড়া গ্রাম পরিদর্শন শেষে মৃত আবু তাহেরের বাবা ফজর আলীর হাতে ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তিনি মৃতদের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।

জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন এলাকায় মাইকিং করে এক কিলোমিটার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, এলাকার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, নিরাপদে চলাচলের জন্য দুই শতাধিক মাস্ক বিতরণ করে। মৃতদের মরদেহ দাফনের খরচ বাবদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মৃত্যুর আসল কারণ জানার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের একটি টিম এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি টিম এলাকায় এসেছেন। তারা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠাবেন। ল্যাবে পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যে কোনো সমস্যায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। কোনো ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হলে দ্রুত প্রশাসনের লোকজনকে অবগত করার পরামর্শও দেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ, স্থানীয় ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী নুপুর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে আবু তাহেরের বাড়ি পরিদর্শন করে ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম।

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত রোগে ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আবু তাহের (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান আবু তাহেরের জামাই হাবিবুর রহমান (৩৫) ও স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসান মৃত্যুবরণ করেন এবং ও ওই পরিবারের ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

৫ জনের মৃত্যু : সেই পরিবার পেল ২০ হাজার টাকা

আপডেট টাইম ০৯:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক:: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মরিচপাড়া গ্রাম পরিদর্শন শেষে মৃত আবু তাহেরের বাবা ফজর আলীর হাতে ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তিনি মৃতদের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।

জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসন এলাকায় মাইকিং করে এক কিলোমিটার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, এলাকার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, নিরাপদে চলাচলের জন্য দুই শতাধিক মাস্ক বিতরণ করে। মৃতদের মরদেহ দাফনের খরচ বাবদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মৃত্যুর আসল কারণ জানার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের একটি টিম এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি টিম এলাকায় এসেছেন। তারা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় ল্যাবে পাঠাবেন। ল্যাবে পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যে কোনো সমস্যায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। কোনো ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হলে দ্রুত প্রশাসনের লোকজনকে অবগত করার পরামর্শও দেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মাসুদ, স্থানীয় ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী নুপুর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে আবু তাহেরের বাড়ি পরিদর্শন করে ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম।

উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত রোগে ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আবু তাহের (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান আবু তাহেরের জামাই হাবিবুর রহমান (৩৫) ও স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসান মৃত্যুবরণ করেন এবং ও ওই পরিবারের ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।