ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছে আনন্দবাজার পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রিরুদ্ধে এবার শিক্ষকদের ১২ দফা অভিযোগ

দেশ একাত্তর পরবর্তীতে সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭১ পরবর্তীকালে দেশ এখন সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তিনি বলেন, টেলিভিশন খুললেই দেখবেন বলা হচ্ছে , বিএনপি’র সংকট, কিন্তু না, আসলে এ সংকট পুরো জাতির। দেশ আজ একনায়কতন্ত্রের বুটের তলায় পিষ্ট। কেউ তাদের কথা বলতে পারছে না, কেউ স্বস্তিতে শfস-প্রশ^াস নিতে পারছেনা। যে আকাংখা নিয়ে মানুষ ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, ৯০ এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছিল সে গণতন্ত্রের আকাংখা ,স্বাধীনতার স্বপ্ন পদদলিত করে আইন বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলিসহ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পরবর্তীতে তাঁর নিজ জেলায় বিএনপি’র প্রথম এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। সংগঠনের রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহবায়ক আনসারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীনসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকরা ধানের দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে, শ্রমিকরা পাচ্ছেনা ন্যায্য মজুরী কিন্তু সরকারের তাদের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? ব্যবসায়ি সহ সাধারণ মানুষের ন্যুনতম বেঁচে থাকবার উপায় নেই। অথচ তারা গণবিরোধী বাজেটের মাধ্যমে ম্যাগা প্রকল্প চালু করে লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরানো নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বাজেট প্রসংগে তিনি বলেন, বিএনপি’র কথা বাদ দেন, দেশের এমন কোনো প্রগতিশীল বা জনগণের পক্ষের অর্থনীতিবীদ, চিন্তাবীদ বা সাংবাদিক নেই যিনি বলেছেন এ বাজেটে জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো উপাদান রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের যে কর তার বেশি অংশই যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন-ভাতার জন্য, তাদের বেতন ভাতা দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে, তাদের গাড়ি কিনবার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। এটার কারণ যাদের দিয়ে সরকার ভোট ডাকাতি করবে তারা যেন ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন কিন্তু এ সরকার সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ ব্যার্থ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান

দেশ একাত্তর পরবর্তীতে সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে

আপডেট টাইম ১২:০২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭১ পরবর্তীকালে দেশ এখন সবচাইতে বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তিনি বলেন, টেলিভিশন খুললেই দেখবেন বলা হচ্ছে , বিএনপি’র সংকট, কিন্তু না, আসলে এ সংকট পুরো জাতির। দেশ আজ একনায়কতন্ত্রের বুটের তলায় পিষ্ট। কেউ তাদের কথা বলতে পারছে না, কেউ স্বস্তিতে শfস-প্রশ^াস নিতে পারছেনা। যে আকাংখা নিয়ে মানুষ ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, ৯০ এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছিল সে গণতন্ত্রের আকাংখা ,স্বাধীনতার স্বপ্ন পদদলিত করে আইন বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলিসহ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পরবর্তীতে তাঁর নিজ জেলায় বিএনপি’র প্রথম এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। সংগঠনের রুহিয়া থানা বিএনপি’র আহবায়ক আনসারুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীনসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকরা ধানের দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে, শ্রমিকরা পাচ্ছেনা ন্যায্য মজুরী কিন্তু সরকারের তাদের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? ব্যবসায়ি সহ সাধারণ মানুষের ন্যুনতম বেঁচে থাকবার উপায় নেই। অথচ তারা গণবিরোধী বাজেটের মাধ্যমে ম্যাগা প্রকল্প চালু করে লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরানো নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বাজেট প্রসংগে তিনি বলেন, বিএনপি’র কথা বাদ দেন, দেশের এমন কোনো প্রগতিশীল বা জনগণের পক্ষের অর্থনীতিবীদ, চিন্তাবীদ বা সাংবাদিক নেই যিনি বলেছেন এ বাজেটে জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো উপাদান রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের যে কর তার বেশি অংশই যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন-ভাতার জন্য, তাদের বেতন ভাতা দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে, তাদের গাড়ি কিনবার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে। এটার কারণ যাদের দিয়ে সরকার ভোট ডাকাতি করবে তারা যেন ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গ্রাম সরকারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন কিন্তু এ সরকার সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ ব্যার্থ।